মিউজিক ব্যাপারটা অনেক গভীরভাবে মানুষকে প্রভাবিত করে। এটা খুবই শক্তিশালী যা দেশ-কাল-ভাষা সকল কিছু অতিক্রম করতে পারে। মাইকল জ্যাকসান তার বাস্তব উদাহরন।
তার মহাপ্রস্থানের কথা শুনে চরম শোকাচ্ছন্ন হলাম, যেন সে আমাদের আত্নার অংশ। আসলে আমাদের জেনারেশনের বেড়ে উঠার সাথে মাইকলের মিউজিক ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সেই ছোটকালে যখন বাসায় প্রথম মিউজিকপ্লেয়ার আসলো আমার প্রিয় ইংরেজী গান ছিলো সব থ্রিলার এলবামের গান! ক্লাস থ্রি/ফোরে হয়তও পড়ি তখন, কোন এক বন্ধুর বাসায় বন্ধুরা মিলে মাইকলের মত ব্রেক ড্যান্স দেওয়ার চেস্টা, মেঝেতে পাউডার ছিটিয়ে। সেই ব্যাডের পোস্টার যা রুমের দরজায় লাগানো থাকতো।
ওহ, সেই ফেনোমেনাল মুনওয়াক। কিছু বন্ধু আরো পরে অনেক ভালো ব্রেক শিখেগেলো।
গেম বের হলো মাইকল জ্যাকসন আর মুনওয়াকার।
তার গানের এলবামের সাথের মিউজিক ভিডিও, বছরের পর বছর মুগ্ধ করে রেখেছিলো। বাংলাদেশে জন্ম ও বেড়ে উঠেও আসলে মাইকলের মিউজিকের বিশ্বজয়ী প্রভাব থেকে আমরা কোনভাবেই বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। জীবনযাত্রারই একটা অংশে পরিনত হয়েছিলো। আর এখন সেটা হয়েগেছে জীবন স্মৃতি। মিউজিক স্মৃতিচারনের ক্ষেত্রে এমনই গুরুত্বপুর্ন যে প্রতি পুরোনো গান একটানে নিয়ে যায় সেই সময়কার জগতে।
মুহুর্তের মধ্যেই তৈরী করে ফেলে অতীতের হু হু করা চলচিত্র। তখন আর কোন কষ্টই করতে হয়না পুরোনো দিনের আর বন্ধুদের ঘটনা মনে করতে।
মাইকলের অনেক মিউজিকের সাথেই এভাবে জড়িত আমার ও বন্ধুদের স্মৃতি। তাই মাইকল ভিন্নভাষার সংগীত শিল্পী হলেও আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংগ হয়েগেছিলো। তার চলে যাওয়ায় তাই সেরকমই বেদনার।
যদিও এদের মাধ্যমেই আমেরিকান কালচারাল সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করেছিলো তারপরেও মাইকল একজন লিজেন্ড। তারসাথে মায়ার সম্পর্ক। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
নোট:
আমার জীবনের অন্যতম বড় ইচ্ছা ছিলো মাইকল জ্যাকসানের আর গানস এন রোজেস ব্যান্ডের লাইভ শোতে ক্রেজী পার্টিসিপেইট করা। কোনটাই আর হলো না..।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।