আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার নিরাপত্তায় আইন হচ্ছে !



বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এই আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ওপর জঙ্গি হামলার হুমকি থাকায় এই আইন জরুরি। ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার নিরাপত্তার জন্য জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য আইন করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর এই আইনটি বাতিল করে দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার নিরাপত্তার জন্য আবারও নতুন করে আইন করতে যাচ্ছে সরকার।

শিগগিরিই আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। ২০০১ সালের আইন অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত ছিল স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এস এস এফ)। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার যাতায়াত পথ, বাসস্থানসহ সবখানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বিধান রাখা ছিল আইনটিতে। নতুন যে আইন হতে যাচ্ছে তাতেও একই ধরনের বিধান রাখা হচ্ছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার উপর হামলার হতে পারে জানিয়ে দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এরইমধ্যে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছে।

২০০০ সালের জুলাই মাসে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর একটি সভাস্থলের কাছে ৭৬ কেজি একটি বোমা পুতে রেখে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে বিস্ফোরণের আগেই বোমাটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এ হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিল বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ। এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা করা হয়। ওই হামলায় সিনিয়র নেত্রী আইভি রহমানসহ প্রাণ হারান ২৪ জন।

ওই গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি-জামাত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।