এই ব্লগে মৌলবাদী, রাজাকার এবং জামাত শিবিরের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
বন্যা ও খরা সহিষ্ণু এবং অনুর্বর জমিতে ফলনযোগ্য এক জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন জার্মান এক বিজ্ঞানী। জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে এধরণের ধান খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ধানটির উদ্ভাবক ৪৩ বছর বয়সী জার্মান অনুজীব বিজ্ঞানী জিগরিদ হয়্যার। ফিলিপাইনস-এ অবস্থিত আর্ন্তজাতিক ধান গবেষণা সংস্থা ইরির ২০ বছরের প্রচেষ্টার ফল বলা হচ্ছে নতুন জাতের এই ধানকে।
ইতোমধ্যে ফিলিপাইনস ও ভারতের কিছু অংশে এই ধান চাষের অনুমোদনও দেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনস-এর লস বানোসে ইরি কার্যালয়ের বাইরে এধানের চাষ প্রকল্প৷ রাজধানী ম্যানিলা থেকে দক্ষিণ-পূর্বে দুই ঘন্টার গাড়িপথ। প্রায় একশ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে ধানের চাষ হয়েছে।
হয়্যার প্রায় সময়ই চোখ রাখেন তার প্রকল্পের জমিতে৷ জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএকে তিনি জানান, দুই সপ্তাহের জন্য তারা ধানগুলোকে বন্যার জলের মতো ডুবিয়ে রেখে পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন৷ তাতে দেখা যায়, অনেক জমিতে ধান না ফললেও বন্যা সহিষ্ণু একটি জাত বেশ ভালোভাবেই টিকে গেছে।
হয়্যার বলছেন, তারা ফলনের পুরোনো কায়দার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় একটি বিশেষ জাতের বন্যা সহিষ্ণু জিনবাহী একটি প্রজাতির সন্ধান মিললে তারা সেটি আলাদা করে তার সঙ্গে ইরি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল আইআরসিক্সফোর এর নিষেক ঘটান৷ পরে ডিএনএ বিশ্লেষণ করে বন্যা সহিষ্ণু প্রজাতির জিন আছে কিনা তা পরীক্ষা করেন। সাব ওয়ান নাম দেওয়া নতুন জাত দুর্গত লাখো কোটি কৃষকের সাহায্যে আসবে বলে আশা করছেন হয়্যার।
তবে ইরি এখনো নতুন জাতের পেটেন্টের জন্য নিবন্ধন করেনি।
তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে বাংলা সংবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।