আমি একজন বাঙ্গালি রমনী.......
আমরা সপ্নচারী ,হাজার রঙ্গিন সপ্ন দুচোখে জড়ো করে অভিযাত্রার পথ হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে । এটি এদেশের শীর্ষ বিদ্যাপট - যখন থেকে শুনেছি এটি ছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড তখন থেকেই সপ্ন বুনেছি এখনে পড়ার। আজ গর্ভে মাথা উচুঁ হয়ে যায় যখন ভাবি আমার সেই সপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়াছে । আজ আমি সেই বিদ্যাপটে এক ক্ষুদ্র অভিযাত্রি। কিন্তু আমার সেই রঙ্গিন সপ্নগুলো কাচেঁর টুকরোর মত ভেঙ্গে পড়ে যখন দেখি আমার সেই বিশ্বিবিদ্যালয় আজ পৃথিবীর শীর্ষ চার হাজার বিশ্বিবিদ্যালয় এর মধ্যেও নেই - স্থান হয়নি তার সেখানে ।
আমাদের দরিদ্র এই দেশের শীর্ষ বিদ্যাপট এর স্থান এখানে না হলে কোথায় পড়ে রইবে - চট্টগ্রামবিশ্বিবিদ্যালয় ,রাজশাহী বিশ্বিবিদ্যালয়, শাহজালাল বিশ্বিবিদ্যালয়, খুলনা বিশ্বিবিদ্যালয় ইত্যাদি। আর ও দ্বিখন্ডিত হৃদয় নিয়ে দেখি আমাদের এই বিশ্বিবিদ্যালয় দক্ষিন এশিয়ায় লাভ করেছে ৪৪ তম স্থান। আমাদের এই করুন অবস্থা এই শিক্ষাঙ্গনের প্রতি শিক্ষার্থীর হৃদয়ে নাড়া দেয় । এখন এই জ্ঞান কেন্দ্রের এ হেন পরিণতির কারণ অনুসন্ধান বাঞ্চনীয়। তা না হলে হয়তো অনাগত ভবিষ্যতে ইতিহাসের পাতায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হয়ে পড়ে রইবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়।
প্রকৃতপক্ষে এই পিছিয়ে পড়ার অন্যতম এক কারণ আমাদের দারিদ্রতা। এর কষাঘাতে আমাদের এই বিদ্যাপটের এই বেহাল দশা। তার পাশাপাশি রয়েছে নোংরা রজনীতি, মান সম্পন্ন শিক্ষকের অপর্যাপ্ততা, শিক্ষকের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের অভাব, তাদের দায়িত্বশীলতার অভাব, পাশাপাশি জ্ঞান অন্বেষনে ঊৎসাহী শিক্ষকেরঅপর্যাপ্ততা, শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমের অভাব এছাড়াও বহুবিধ কারণ। এসব কারনের নিচে ধামাচাপা পড়ে রয়েছে এই বিদ্যাটের অগ্রযাত্রা। আজ এর পরিস্থিতির কথা ভাবলেই মনে হয় সেশন জটের কথা , হঠাৎ হঠাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হয়ে যাবার কথা , আর এর অভ্যন্তরের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কথা।
আজ আমাদের এই তীর্থশালায় মাদকের ছড়াছড়ি, নেশাগ্রস্থ হয়ে শেষ হেয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের আলকবর্তিকাবাহী নব চেতনায় জাগ্রত ভবিষ্যত নাগরিক, আবার অনেকে শিকারে হয়েছে মেধাপাচারের। এছাড়াও এর শিক্ষার্থীরা আবদ্ধ থাকে ফটোকপি করে নোটের মাঝে যা সত্যিই দুঃখজনক।
আসব কারনেই আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এত নেমে গেছে,আর তার স্থান হয়মনি শীর্ষ চারহাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে। এই আমরাই পারি এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে,দিন বদলের সুর তুলতে । তাই আজ সময় হল নবপ্রজন্মকে এগিয়ে যাবার আর সেই সূর্যদয়কে স্বাগত জানানোর- এই দায়িত্ব আমাদেরই ।
।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।