গভীর কিছু শেখার আছে ....
প্রেম একবারই এসেছিলো নিরবে.....
এ গান শুনেও অনেকে হতাশ হয়ে আপসোস করে বলেন যে, আহারে প্রেম! তুমি কেন এলেনা এ জীবনে? অথচ বাস্তবতা হলো সবার জীবনেই প্রেম আসে। কারোর বা প্রকাশিত হয়, কারোর বা চিরকালই থেকে যায় অ-প্রকাশিত! তাহলে প্রেম প্রকাশিত হবার সেই গোপন মহামন্ত্রটি কি?
জ্ঞানীজনই বলেন আর মূর্খই বলেন, আমার মতে প্রেমের ক্ষেত্রে একটিই মহাসূত্র, আর তা হলো সাহস!
যার সাহস আছে সেই কেবল পারে প্রেমে পড়তে এবং প্রেম করতে।
বাঙ্গালীদেরকে সাহসী জাতি বলে অনেকেই মনে করেন। কিন্তু অনেকের মধ্যেই প্রেমের ক্ষেত্রে সাহসের যে বড্ড অভাব দেখা যায়। আর প্রেমিকারা প্রেমিকের এমন অ-সাহসী সুলভ মনোভাব দেখে তার প্রেমে পড়তে আর আগ্রহ পান না।
এ কারণেই অনেক সময় দেখা যায় যে, অতি সুন্দর একটি মেয়েও তার সঙ্গে চলে না এমন ছেলের সঙ্গেও প্রেমে অস্থির থাকে!
এক্ষেত্রে সেই মেয়েটি জন্য পাগলপারা সুদর্শন (অথচ প্রেম প্রকাশে সাহসের অভাব বৈশিষ্ট্য যুক্ত ) এমন ছেলেরা আপসোস করে বলেই ওঠেন যে, আহারে, ওই মফিজের চেয়ে আমি কোন অংশে কম ছিলাম যে রহিমা আমাকে বাদ দিয়ে ওর হাত ধরতে গেলো?
কিন্তু তারা ভুলে যান যে, ওই মফিজের চেয়ে সাহসের দিক থেকে তারা অন্তত পিছিয়ে ছিলেন, যার ফলশ্রুত রহিমা সেই মফিজের হাতই ধরেছে! কারণ এটা তো সবাই জানেন এবং মানেন যে, নারীরা এখনও তাদের বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না অবস্থাতেই রয়ে গেছেন। আর সে কারণে তারা চান যে অন্য প্রান্ত থেকেই এক্ষেত্রে প্রেমের প্রস্তাবটা অন্তত আসুক।
ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি হবার পরও দেখেছি যে, আমাদের সঙ্গে নতুন ভর্তি হওয়া এক মেয়ের জন্য অনেকে পাগলপারা, যাদের মধ্যে সিনিয়ার ভাইরা ছাড়াও সহপাঠীদের অনেকে ছিলো। কিন্তু মেয়েকে সরাসরি কেউই নিজের প্রেমের কথা বলতে পারেন না। এর মাধ্যমে, নয়তো অন্যের মাধ্যমে মেয়ের কাছে নিজের মনের কথা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে লাগলেন অনেকে।
তবে দুঃসাহসিক কাজটা করলো আমারই এক ক্লাসমেট। সরাসরি মেয়ের কাছে নিজের ভালোবাসার কথা জানালো অপকটে। প্রথমে সেই মেয়ে তো সরাসরি সেই ছেলের প্রস্তাব নাকচ করে দিলো। কারণ সহপাঠী কারোর সঙ্গে সে নিজের জীবন জড়াবে না বলে প্রথমেই ডিক্লেয়ার দিয়েছিলো সে। আমরা সবাই ভাবলাম হয়তো এটাও কোন ব্যর্থ প্রজেক্ট হলো।
কিন্তু ওমা! ক'দিন পরই দেখি সেই মেয়ের হাত বগলদাবা করে আমাদের সহপাঠী ক্যাম্পাসে হেঁটে বেড়াচ্ছে। মেয়েকে কৌতুহলী হয়ে অনেকেই জিজ্ঞেস করলো তার মত পরিবর্তনের কারণ কি? তখন মেয়েটি সলাজ হেসে বললো, আসলে কেউ তো আগে এভাবে সরাসরি বলেনি, তাই বুঝতে পারিনি কখন কি হয়ে গেলো ভেতরে ভেতরে!
তা শুনে আর আমরা তো থ!
সুতরাং ভালোবাসার কথা আসলে ভেতরে জমিয়ে রাখলে হবে না, তা প্রকাশ করতে হবে, তা সে যেভাবেই হোক না কেন!
তবে কাউকে ভালোলাগাটা কিন্তু কোন হঠকারী ব্যাপার হবে না, ভেবে চিন্তে এক্ষেত্রে এগুনোর বিষয়টিই জরুরী। তার সঙ্গে ভালোবাসা হয়ে গেলো, কিন্তু পরবর্তীতে যদি দেখেন আপনার সঙ্গে মিল হচ্ছে না, তবে কিন্তু তা পোস্ট-ব্যর্থ প্রজেক্ট হিসেবেই এগুবে। তাই এক্ষেত্রে আগে যত পারেন ভালোলাগার মানুষটির সঙ্গে মনের কথাগুলো শেয়ার করুন। যখন বুঝবেন এই মানুষটির সঙ্গে আজীবন শেয়ার করা ভিন্ন আপনার চলবে না, তখনই বুঝবেন আপনার ভালোলাগা এখন প্রেমে রূপান্তরিত হতে চলেছে।
আর তা পূর্ণতা দেবার জন্য এক্ষেত্রে সরাসরি মনে কথা জানানোর ভিন্ন কোন অবকাশ নেই!
সুতরাং আর দেরী না করে যত শিগগিরই পারেন তাকে নিজের মনের কথাটি জানিয়ে দিন। নইলে পরে দেখবেন এই লেখার প্রথম লাইনটিই কেবল মনের মধ্যে ভাসবে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।