!!!
মায়াবী মায়া হরিণ
মিডিয়ার কল্যাণে বিষয়টি অনেকেই জানেন। বেশ কিছুদিন ধরে ইচ্ছে হচ্ছিল দেখে আসি। একবার খুব কাছে থেকে চলে আসতে হয়েছিল-সময়ের অভাবে। বলছিলাম সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানার কথা। শ্রীমঙ্গলের মিশন রোডে নিজস্ব বাসায় ছিল চিড়িয়াখানাটি।
৩ মাস পূর্বে ২ কি.মি. দূরে ১.৮০ একরের নিজস্ব মৎস্য খামারে চিড়িয়াখানাটি স্হানান্তর করে নিয়ে গেছেন।
সীতেশ বাবু জানালেন তাঁর চিড়িয়াখানার বর্তমান বয়স ৩৮ বছর। তাঁর পিতা প্রাণী সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন।
আসুন দেখে নেই কী কী প্রাণী রয়েছে এই চিড়িয়াখানায়।
পাখিদের মধ্যে আছে ঘুঘু, সোনালী ঘুঘু, হরিয়াল, নিশি বক, বনমোরগ, ধনেশ, চখাচখি, লাভ বার্ড, টিয়া ইত্যাদি। অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে আছে মায়া হরিণ, ভালুক, লজ্জাবতী বানর, মেছো বাঘ, সাদা বাঘ, সোনালী হনুমান, গন্ধগোকুল, গুঁই সাপ, অজগর, সজারু, সোনালী কচ্ছপ ইত্যাদি।
সীতেশ বাবুর পুত্র সঞ্জিত জানালেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তাদের এই চিড়িয়াখানার ব্যয় নির্বাহ হয়। মাসিক খরচ প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। কোন সরকারি সাহায্য পান না।
সীতেশ বাবু দাবী করেন বেশ কয়েকবার সরকারি সাহায্যের আশ্বাস পেলেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে তিনি সেই সাহায্য পান নি।
বিকেল বেলা বেড়িয়েছিলাম চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে তখন যথেষ্ট আলো ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে অঝোর বৃষ্টি এসে আকাশ কালো হয়ে গেল। আর আমার তোলা ছবি হয়ে গেল আলোবিহীন ছবি দেখুন।
মুখ ঘুরিয়ে বসে থাকা ঘুঘু
সোনালী বাঘ
সোনালী হনুমান
সজারু
হিংস্র মেছো বেড়াল
চারিপাশে আতপ চালের গন্ধ ছড়ানো গন্ধগোকুল
ধনেশ পাখি
ছবি উল্টা নয় টিয়ারাই উল্টো বসে আছে
পাহাড়ি ভাল্লুক
চোখের রঙ পরিবর্তনে সক্ষম সাদা বাঘ
শাখামৃগের অবস্হান আপাতত খাঁচায়
কালিম পাখি
সীতেশ বাবুর বাসায় স্টাফড ময়ূর
স্টাফড চখাচখি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।