মাদ্রাসা হতে তথাকথিত শিক্ষিত পাঞ্জাবী ও টুপি পরিহিত এক শ্রেণীর মানুষ আমাদের সমাজের জন-সাধারনের কাছে খুবই সম্মানিত পুরুষ প্রজাতি। তাদেরকে আবার বিভিন্ন নামে সম্মোধন করা হয়। যেমন- মওলানা, মৌলভী, হুজুর, মেসাব ঈত্যাদি। এই হুজুরদের নিয়ে আবার আমাদের সমাজে নানা রকম রসাত্মক গল্প প্রচলিত আছে। যেমন- একবার এক মওলানা এক প্রত্যন্ত গ্রামে মধ্য শীতের সন্ধ্যাকালীন ওয়াজে বয়ান দিতে গেছেন।
ঐখানে তিনি পুরুষ জাতির জন্য কি হালাল ও কি হারাম বুঝাতে গিয়ে বয়ান করলেন, “নারীর হাতের নকশা করা কোন রকমের পরিধান তো দূরে থাক স্পর্শ করাও পুরুষের জন্য হারাম”। যাহোক বয়ান শেষে উনাকে এলাহীভুজ করানো হল। তারপর উনাকে স্থানীয় চেয়ারম্যানের দেউরী ঘরে থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া হল। এরপর ঘটল আসল বিপত্ত্বি! হুজুর ঘুমাতে গেছেন কিন্তু বিছানায় গিয়ে দেখেন এত শীতের রাত্রে গায়ে দেবার মত কোন কাঁথা বা কম্বল মজুদ নেই। উনি সাথে সাথে চেয়ারম্যানের কছে গেলেন।
মওলানা দেখেই চেয়ারম্যান অত্যন্ত বিনীত ভাবে বললেন, “হুজুর বেয়াদবী মাফ করবেন, সমস্ত গ্রাম খুজে আপনার জন্য মহিলাদের হাতের কাজ ছাড়া কোন কাঁথা জোগাড় করা যায়নি! উপরন্তু আমাদের গ্রামটা অত্যন্ত দরিদ্র তাই এখানকার কারো বাড়িতে কম্বলও নেই!!”। পরদিন নিউমনিয়া আক্রান্ত হুজুরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হল। হাসপাতালে হুজুরের বড় হুজুর (অর্থাৎ মাদ্রাসার শিক্ষক) হুজুরকে দেখতে এলেন। উনি সমস্ত ঘটনা বিস্তারিত শুনে গম্ভিরভাবে বলে উঠলেন, “যাক তুমার একটা প্রেক্টিকেল শিক্ষা হইল, আমি শিওর তুমি আর জীবনে কোনদিন এভাবে গরমকালের বয়ান শীতকালে দিবানা!!!!!!!!”
চলবে…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।