আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাম মোর্চার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা

মাঝে মাঝে মন নিয়ন্ত্রনহীন হতে চায়; কিন্তু...............

জনজীবনের সংকট নিরসনের দাবিতে এবং মহাজোট-জোটের বিপরীতে বাম বিকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ৪ জুন ২০০৯ সকাল ১১টায় ২৩/২ তোপখানা রোডস্থ বাসদ অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ। উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা টিপু বিশ্বাস, সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, এডভোকেট আব্দুস সালাম, জোনায়েদ সাকি, হামিদুল হক, ইয়াছিন মিয়া, সাইফুল ইসলাম মাস্টার, রাজেকুজ্জামান রতন, সামছুজ্জোহা, কামরুল আলম সবুজ, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় জেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঝড়ের সময়ে এবং পরে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

আমরা ঘূর্ণিঝড়ে নিহত আহতদের প্রতি গভীর শোক ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি ঘূর্ণি উপদ্রত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ, আহত ও ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধের অভাবে মানুষ মৃত্যুমুখে ঢলে পড়ছে। বৃষ্টি, রোদে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা ঘূর্ণি উপদ্রুত এলাকাকে “দুর্গত এলাকা” ঘোষণা করে অবিলম্বে পর্যাপ্ত ত্রাণ, খাবার পানি, ঔষধ সরবরাহ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।

বক্তব্যে বলা হয়, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের কয়েক মাস পার হয়েছে। কিন্তু যে আশা নিয়ে মানুষ বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে মাত্র ক’মাসের মধ্যেই তা হতাশায় পরিণত হয়েছে। নিজেদের জীবন ও দেশের ভবিষ্যত নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে আবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ন্যূনতম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার চর্চাও ক্রমাগত ব্যহত হচ্ছে। সরকারের কর্মকা- ক্রমেই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক স্বৈরাচারী গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশসহ তাদের প্রায় সকল অপকর্মকে সংসদের গত অধিবেশনে আইন করে হালাল করে নেয়া হয়েছে। অথচ জাতীয় সংসদে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এই পর্যন্ত দমনমূলক বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সংবিধানের নিবর্তনমূলক চরম অগণতান্ত্রিক সংশোধনীসমূহ বাতিলের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আবার পুনর্বাসিত হচ্ছে। উপজেলায় এমপিদের কর্তৃত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে। ফলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ‘দিনবদলের শ্লোগান’ কেবল বুলি ও বাগাড়ম্বর সর্বস্ব প্রতারণা হিসাবেই থেকে যাচ্ছে।

আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, বিএনপি-জামাত আমলের মতই এখন সরকার দলীয়রা সারাদেশে তোলাবাজি, টে-ারবাজি, সন্ত্রাস, মাস্তানি, জবরদখল, দলবাজি, প্রতিপক্ষের উপর হামলা-আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে; ছিনতাই ও খুন খারাবিও বৃদ্ধি পেয়েছে; জনজীবন হয়ে উঠেছে নিরাপত্তাহীন। চালের দাম কিছুটা কমলেও নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামীণ টাউট, মজুতদার, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটসহ নানা মহলের কারসাজিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যেও কৃষক ধান-চাল বিক্রি করতে পারছে না। বিদ্যুত, গ্যাস, পানি সংকট ও যানজটের কারণে মানুষের ভোগান্তি চরমে। শ্রমিক-কর্মচারীদের দুর্ভোগও বেড়ে চলেছে।

তাদের জন্য এখনও বাঁচার মত জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষিত হয়নি। তেল-গ্যাস-বন্দর-সমুদ্রসীমা-কয়লার মত জাতীয় সম্পদ মুনাফালোভী সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানিসমূহের হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হচ্ছে। আধিপত্যবাদী ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টন ও সমুদ্রসীমা সহ বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সমস্যাসমূহের সমাধান না করে এশিয়ান হাইওয়ে নামে তাদেরকে একতরফা ট্রানজিট দেবার পাঁয়তারা চলছে। সুরমা-কুশিয়ারার উজানে বরাক নদীর টিপাই মুখে বাঁধ দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সকল রীতি-নীতি লংঘণ করে। অথচ সরকার রহস্যজনক নিরব ভূমিকা পালন করছে।

আর কথা বললেও তা দায়সারা গোছের দায়িত্বহীন মামুলি বক্তব্যে পরিণত হচ্ছে। পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করে টিফাসহ নানা চুক্তির মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশকে আরো পাকাপোক্তভাবে বেঁধে ফেলার বন্দোবস্ত চলছে। দেখা যাচ্ছে, অতীতের সরকারগুলোর মত বর্তমান সরকারের কাছেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও দেশের জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই। শোষক-লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ শাসকশ্রেণীর দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার হাত বদলের মধ্যে যে জনগণের মুক্তি নেই এ কথা আবারও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মধ্যবিত্ত জনতার রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরো জোরদার করতে হবে।

শোষক লুটেরা ধনিকশ্রেণী, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জনগণের সকল অংশের সংগ্রামী ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মহাজোট-জোটের বুর্জোয়া রাজনীতির বিপরীতে বাম-বিকল্প শক্তি গড়ে তুলে জনজীবনের সংকট নিরসন ও জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবির ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জনসভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, মতবিনিময়সহ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর অংশ হিসেবে আগামী ৮ জুন রংপুর, ৯ জুন গাইবান্ধা, ১৮ জুন ঢাকার মিরপুরে, ২১ জুন চট্টগ্রামে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সফর করে বাম বিকল্প গড়ে তুলে জনগণের সার্বিক মুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করবে। জনজীবনের সংকট নিরসনের দাবিতে এবং মহাজোট-জোটের বিপরীতে বাম বিকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে আজ ৪ জুন ২০০৯ সকাল ১১টায় ২৩/২ তোপখানা রোডস্থ বাসদ অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ। উপস্থিত থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা টিপু বিশ্বাস, সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, এডভোকেট আব্দুস সালাম, জোনায়েদ সাকি, হামিদুল হক, ইয়াছিন মিয়া, সাইফুল ইসলাম মাস্টার, রাজেকুজ্জামান রতন, সামছুজ্জোহা, কামরুল আলম সবুজ, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় জেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। ঝড়ের সময়ে এবং পরে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আমরা ঘূর্ণিঝড়ে নিহত আহতদের প্রতি গভীর শোক ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি ঘূর্ণি উপদ্রত এলাকায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ, আহত ও ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পরও খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধের অভাবে মানুষ মৃত্যুমুখে ঢলে পড়ছে। বৃষ্টি, রোদে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমরা ঘূর্ণি উপদ্রুত এলাকাকে “দুর্গত এলাকা” ঘোষণা করে অবিলম্বে পর্যাপ্ত ত্রাণ, খাবার পানি, ঔষধ সরবরাহ ও পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি। বক্তব্যে বলা হয়, ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের কয়েক মাস পার হয়েছে।

কিন্তু যে আশা নিয়ে মানুষ বিএনপি-জামাতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে মাত্র ক’মাসের মধ্যেই তা হতাশায় পরিণত হয়েছে। নিজেদের জীবন ও দেশের ভবিষ্যত নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে আবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ন্যূনতম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারার চর্চাও ক্রমাগত ব্যহত হচ্ছে। সরকারের কর্মকা- ক্রমেই স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারি করা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক স্বৈরাচারী গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশসহ তাদের প্রায় সকল অপকর্মকে সংসদের গত অধিবেশনে আইন করে হালাল করে নেয়া হয়েছে।

অথচ জাতীয় সংসদে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও এই পর্যন্ত দমনমূলক বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ সংবিধানের নিবর্তনমূলক চরম অগণতান্ত্রিক সংশোধনীসমূহ বাতিলের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আবার পুনর্বাসিত হচ্ছে। উপজেলায় এমপিদের কর্তৃত্ব দিয়ে স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে। ফলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ‘দিনবদলের শ্লোগান’ কেবল বুলি ও বাগাড়ম্বর সর্বস্ব প্রতারণা হিসাবেই থেকে যাচ্ছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, বিএনপি-জামাত আমলের মতই এখন সরকার দলীয়রা সারাদেশে তোলাবাজি, টে-ারবাজি, সন্ত্রাস, মাস্তানি, জবরদখল, দলবাজি, প্রতিপক্ষের উপর হামলা-আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে; ছিনতাই ও খুন খারাবিও বৃদ্ধি পেয়েছে; জনজীবন হয়ে উঠেছে নিরাপত্তাহীন।

চালের দাম কিছুটা কমলেও নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসের দাম এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রামীণ টাউট, মজুতদার, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটসহ নানা মহলের কারসাজিতে সরকার নির্ধারিত মূল্যেও কৃষক ধান-চাল বিক্রি করতে পারছে না। বিদ্যুত, গ্যাস, পানি সংকট ও যানজটের কারণে মানুষের ভোগান্তি চরমে। শ্রমিক-কর্মচারীদের দুর্ভোগও বেড়ে চলেছে। তাদের জন্য এখনও বাঁচার মত জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষিত হয়নি।

তেল-গ্যাস-বন্দর-সমুদ্রসীমা-কয়লার মত জাতীয় সম্পদ মুনাফালোভী সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানিসমূহের হাতে তুলে দেবার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হচ্ছে। আধিপত্যবাদী ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টন ও সমুদ্রসীমা সহ বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সমস্যাসমূহের সমাধান না করে এশিয়ান হাইওয়ে নামে তাদেরকে একতরফা ট্রানজিট দেবার পাঁয়তারা চলছে। সুরমা-কুশিয়ারার উজানে বরাক নদীর টিপাই মুখে বাঁধ দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সকল রীতি-নীতি লংঘণ করে। অথচ সরকার রহস্যজনক নিরব ভূমিকা পালন করছে। আর কথা বললেও তা দায়সারা গোছের দায়িত্বহীন মামুলি বক্তব্যে পরিণত হচ্ছে।

পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করে টিফাসহ নানা চুক্তির মধ্য দিয়ে সাম্রাজ্যবাদের মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশকে আরো পাকাপোক্তভাবে বেঁধে ফেলার বন্দোবস্ত চলছে। দেখা যাচ্ছে, অতীতের সরকারগুলোর মত বর্তমান সরকারের কাছেও দেশের সার্বভৌমত্ব ও দেশের জনগণের কোন নিরাপত্তা নেই। শোষক-লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ শাসকশ্রেণীর দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার হাত বদলের মধ্যে যে জনগণের মুক্তি নেই এ কথা আবারও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শ্রমিক-কৃষক, মেহনতি মধ্যবিত্ত জনতার রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান প্রতিষ্ঠার লড়াইকে আরো জোরদার করতে হবে। শোষক লুটেরা ধনিকশ্রেণী, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জনগণের সকল অংশের সংগ্রামী ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মহাজোট-জোটের বুর্জোয়া রাজনীতির বিপরীতে বাম-বিকল্প শক্তি গড়ে তুলে জনজীবনের সংকট নিরসন ও জনগণের সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবির ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশে জনসভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, মতবিনিময়সহ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর অংশ হিসেবে আগামী ৮ জুন রংপুর, ৯ জুন গাইবান্ধা, ১৮ জুন ঢাকার মিরপুরে, ২১ জুন চট্টগ্রামে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সফর করে বাম বিকল্প গড়ে তুলে জনগণের সার্বিক মুক্তির সংগ্রামকে বেগবান করবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।