এই সময়ের সিনে শিল্পকে সাধারণ দর্শকরা যে দৃষ্টি কোন থেকে বিবেচনা করছে তা কিন্তু মোটেও ইতিবাচক নয়। বরং সবসময় বাজে বলেই আসছে, বাজে চোখে দেখছে। এই সময়টাকে বলা হয় ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগে প্রবেশের দ্বারটি কিন্তু বৈজ্ঞানীক প্রযুক্তি। আধুনিক সরঞ্জামাদি।
কিন্তু সিনে শিল্পটির জন্য এ দ্বাটি কি খোলা নেই? প্রশ্নটা অতি সরল হলেও কিন্ত স্বাভাবিক দৃষ্টিতে জবাব দেয়া যায় না। কারণ দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে তাদের যাওয়া আসাটা বন্ধ করে দিয়েছে শুধু প্রযুক্তির অভাবের কারণেই নয় সঙ্গে যোগ হয়েছে রুচি বোধের বিকৃতি। আদি রসের রমরমায় এখন আর মা ছেলে এসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতে পারে না। দ্বিধায় পড়ে যায়।
হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এই দ্বিধা এবং দ্বন্দটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
সরল স্বাভাবিক মন নিয়ে কেউ প্রেক্ষাগৃহে ঢুকতেও পারবে না। সেদিন এক বন্ধু বলল, চল, এক টিকেটে দুই সিনেমা দেখে আসি। শুরুতে বিষয়টি আমি বুঝলাম না। পরে যখন ডিটেলস বলল, আমি আশ্চর্য হলাম। দ্বিধান্বিত হলাম।
যাক এসব পরের ব্যাপার। আসল কথায় আসি।
নূরুল আলম আতিক একটি বই গ্রন্থনা করেছেন নতুন সিনেমা, সময়ের প্রয়োজনে শিরোনামে। বইট ছোট্ট পরিসরে। মাত্র তেষট্টি পৃষ্ঠা।
তবে শিনে শিল্প নিয়ে তার আধুনিক ধ্যানধারনার বিকাশ আমাদেরকে মোটামুটি চমৎকৃত করেছে।
এখন বলতে হয়, তবে বইটিতে কী কী আছে। তিনি লিখেছেন ছানি কাটবে তেমন ডাক্টার কোথায়? মানে ভাল যোগ্য, দক্ষ সিনেমা নির্মাতা নেই। যারা হল বিমুখ দর্শকেকে হল মুখী করবে। বেশ, তিনি কিন্তু তার পরের রচনাটিতে লিকেছেন নতুন সিনেমা: অগণন কুসুমের দেশে নীল গোলাপ।
বিনয় মজুমদারের কবিতা থেকে নেয়া। তিনি বলেছিলেন অগণন কুসুমের দেশে নীল বা নীলাভবর্ন গোলাপের মতো তোমার অভাব বুঝি। কার অভাব কিসের অভাব? যাক, আতিক কিন্তু সিনেমা নির্মাতাদের অভাবের কথা বলেছেন। দর্শক কিন্তু গুম মেরে বসে নেই। দর্শক সিনেমা দেখছে।
ইন্টারনেটে, স্যাটেলাইট টেলিভিশনে। বলিউড, হলিউড তামাম দুনিয়া তার হাতের মুঠোয়। ঢালিউড তাকে ঠকাতে পারেনি। পারবে না।
তবে এখন আসল কথা পারি।
ডিজিডাল সিনেমা সম্পর্কে আপনারা ইতিউতি শুনে থাকবেন। হয়ত শুনছেন। নতুন পরিচালকরা যদি ডিজিটাল সিনেমা নির্মান করে তাদের হাত পাকা করে তবে কেমন হয়। ভালই হয়। সঙ্গে শহরে যদি ছোট ছোট ১০০-১৫০ ছিটের সিনেমা হল থাকবে।
কাফে সাইন্টেফিকের মত। র্দশক হবে সব তরুন তরুনী। হলে সঙ্গে কফি বা পিৎজা হাউজ থাকবে, ইন্টারনেট থাকবে। বেশ জমাটি হয় কি বলেন। নির্মাতাও কিন্তু তরুনরাই হবেন।
ধীরে ধীরে আবার আমরা বাংলা সিনেমার ভাব ধারায় চলে যাব। বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না সিনেমা বা রুপবান দেখব।
সবে শেষ কথা থেকেই যায়, ইদানিং এনজিওরা নিজেদের এজেন্ডা অনুসারে সিনেমা তৈরি করছে। অথবা বিদেশী ম্যান্ডেট নিয়ে বেশ কিছূ সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। এগুলো কিন্তু কখনও আমাদের সিনে শিল্পেকে নতুন কোন আলোর মুখ দেখাচ্ছে না যদিও বেশ পুরস্কার টুরস্কার পাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।