কাঙাল জানিয়া বাবা দিও দরিশন, অধম জানিয়া বাবা দিও দরিশন.....
অগ্রায়নের পাকা ধান কাটার মৌসুমে কৃষক জনগোষ্টির আনন্দ উল্লাসে আমরা আমাদের প্রাণের স্পন্দন শুনতে পাই । নারির টান অনুভূত হয়। তাদের দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার ফসল ঘরে তোলার যে আনন্দ। একটি ফসলের সফলতার জন্য তাদেরকে ২মাস অথবা তারও অনেক বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়।
অনেকের সেই আনন্দ ঘরে যাওয়ার আগেই চলে যায়।
তার কারণ চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে । সেই কৃষককে বীজ সার কীটনাশক কিনে চাষ করতে হয়।
তার মানে অনেক আগেই সেই ফসল বিক্রি হয়ে গেছে।
ধানের মূল্য সে আর পায় না।
এই পরমপরা প্রায় সকল শ্রেণীর কৃষকের।
এখন সারা বছর চাষাবাদ হয় সারাবছর চলে মহাজনের সুদের ব্যাবসা।
কোনবারই এই দারী্দ্রের দুষ্ট চক্র হইতে কৃষক কুল রক্ষাপায় না।
সরকারের ভর্তুকি তার কাছে পৌছায় না।
এলিট ধনীক শ্রেনীর কৃষক জনগোষ্টি সেই ভর্তুকি কৌশলে সব আত্মসাত করে । তারা এখন জমি কিনে হয়ে যাচ্ছে জমিদার।
সেই জমিদারী কবে বিলুপ্ত কিন্তু নব্য জমিদাররা তাদের নির্যাতন পুরাতন জমিদারদের হার মানায়।
এখন এই নব্য জমিদারদের রুখতে হলে মাথা পিছু জমি ক্রয়ের সীমা নির্ধারন করা জরুরী তা না হলে সারা দেশের জমি মুষ্টিমেয় কয়েকটা কোম্পানী অথবা ব্যাক্তি গোষ্টির কাছে চলে যাবে।
অথবা বিভিন্ন কোম্পানীর জমির পরিমান নির্ধারন । এবং ব্যাক্তি খাতের পরিমান নির্ধারন অব্যাবহুত জমির কোম্পানী লিজ বাতিল করে কৃষক সাধারনের কাছে বিতরন।
অনেক অব্যাবহুত ব্যাক্তি খাতের জমির মালিকানা বাতিল সংক্রান্ত কিছু
আইন এবং কৃষিকে অগ্রাধিকার দেয়া এই সরকারের ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা অনেক দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।
কৃষককে বাঁচাতে হবে তার জন্য জমিদারী প্রথা বাতিল করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।