এ মানচিত্র জ্বলছে জ্বলুক এই দাবানল পোড়াক চোখ আমার কাছে দেশ মানে এক লোকের পাশে অন্য লোক........
শুভ সকাল, শুভ সন্ধা, শুভ মধ্যণ্হ..........
আপনাদের সবাইকে এসো রান্না শিখি অনুষ্ঠানে স্বাগতম জানাচ্ছি আমি কঁাকন ।
আপনাদের ভালোবাসায় অনেকটা পথ পারিদিয়ে এসো রান্না শিখি অনুষ্ঠান টি আজ তৃতীয় পর্বে পা দিয়েছে; তিন মানেই বিশেষ কিছু, তিনমানেই তিন গোয়েন্দা, তিন মানেই থ্রি মাসকেটিয়ার্স, ত্রি-রত্ন, তৃতীয় নয়ন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গ্যাল এবং আরো অনেক কিছু ।
তাই তৃতীয় পর্ব উপলক্ষে আমাদের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে বিশেষ ভাবে শুধুমাত্র আপনাদের অনুরোধ দিয়ে-- অনুরোধের আসর রান্নার খুন্তি
চা থেকে সুরু করে ভাত -- বেশিরভাগ রান্নার পূর্ব শর্তই গরম পানি, এমন কি গারগল করতেও লাগে গরম পানি
আজকে আম্রা প্রথমেই শিখবো গরম পানি রান্না করার রেসিপি; আমাদের কাছে গরম পানির রেসিপি চেয়েছেন দূরের পাখি এবং তনুজা
গরম পানি:
উপকরণ:
১। হাড়ি/ডেগচি
২। পানি
৩/চুলা
প্রস্তুত প্রণালী:
হাড়িতে গরম পানি নিন(কানায় কানায় পূর্ণ করে পানি ভরবেন না উপচে পরে যাবে), পানি শুদ্ধ হাড়ি চুলায় বসিয়ে চুলা ফুলস্পিডে অন করেদিন, ২০ মিনিটেই পেয়ে যাবেন কাঙ্খিত বিশুদ্ধ ফুটন্ত গরম পানি ।
যদি পানি গারগল করার জন্য গরম করতে চান তাহলে আধচামচ লবণ,একটা লবঙ্গ এবং আদাকুচি ফেলেদিন পানিতে তবেংরম পানিতে ঠান্ডাপানি মিশিয়ে গারগল করবেন না এক্টু সময়দিয়ে পানিকে প্রাকৃতিকভাবে সহনীয় তাপমাত্রায় আসতে দিন।
আমাদের দ্বিতীয় অনুরোধটি পাঠিয়েছেন মীর। ক-খ-গ এবং আরো অনেকর, আপ্নারা ডিম্বয়েল করার পদ্ধতি জানতে চেয়েছেন।
ডিম্বয়েল:
উপকরণ:
১। ডিম
২।
পানি
৩। হাড়ি/কড়াই
৪। লবণ
৫। চুলা
প্রস্তুত প্রণালী:
সুস্থ সবল ডিম নিন, দেখবেন ডিম যেন ভাঙা না থাকে। এবার পাত্রে পানি নিন পানিতে আস্তে আস্তে যত্নের সাথে ডিম ছাড়ুন যেন ডিম না ভাঙে,এক চিমটি লবণ দিন পানিতে,পাত্রটি চুলায় বসিয়ে চুলা অন করুন,১৫-২০ মিনিট পর ডিম তুলে ফেলুন, হয়ে গেল ডিম্বয়েল।
নিন্দুকেরা বলতে পারেন লবণ কি শক্ত চামরা ভেদ করে ডিমের ভেতর ঢুকবে না ঢুকবেনা তবে লবণ দিলে ডিম ছিলতে সুবিধা হয়।
এবার আসুন আরো কম সময়ে ডিম সেদ্ধ করি;
আগে ডিম ভেঙে একটি বাটিতে রাখুন , দেখবেন কুসুম যেন ভেঙে না যায়, চুলায় পানি গরম করুন, পানি ফুটে উঠলে লবণ ও অল্প ভিনেগার দিন, এবার খুন্তিদিয়ে পানিতে ঘুটা দিন এতে পানিতে ঘুর্ণীর মতন হবে সেই ঘুর্ণীতে ডিম ছেড়ে দিন,৪০ সেকেন্ড পর তুলে ফেলুন।
হয়ে গেল ওয়াটার পোচ।
আমাদের শেষ অনুরোধটি পাঠিয়েছেন অ্যালান এবং নীলা
আপ্নারা জান্তে চেয়েছেন লেবুর্রশভাজির রেসিপি।
যথেষ্ট পরিমান লেবুর্রস সংগ্রহ করুন, সংগৃহিত রস ছেকে নিন যাতে কোন ছিকলা না থাকে , এবার একটি পাত্রে বেসন এবং চালের গুরা নিন তাতে অল্প কালোজিরে দিন, লবণ দিন দিয়ে লেবুর্রস দিয়ে বেসন গোলান, বেসন গোলানো হয়েগেলে তেলে লেবুর্রস ভাজি করুন, চাইলে লেবুর্রসে কাচামরিচ কুচিও পেয়াজ কুচিও দিতে পারেন
ডুবো তেলে ভাজবেন।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। তবে এখানেই শেষ নয় যেকোন সময় আমাদের বিশেষ অতিথী নুশেরা তার মূল্যবান টিপস নিয়ে হাজির হবেন।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
সাইয়োনারা আলবিদা ...
আগামী পর্বে ছাগ মাংসের এক্টা রেসিপি দেবার ইচ্ছা ছিল তবে দিন দিন ছাগলের মান পরে যাচ্ছে (আফসোস
চলে এসেছে আপ্নাদের কাঙ্খিত বিশেষ অতিথী, তাহলে ভিউয়ার্স, চলুন যাই এবার টিপস পর্বে।
১. গরম পানির টিপস-- হাঁড়ি, পাতিল, কেতলি, সসপ্যান, ডেগ, ডেকচি যেইটাতেই পানি নিবেন, চুলায় বসানোর আগে তলাটা মুছে নিবেন।
২. ডিম সিদ্ধ করার সময় ডিম আর পানি একসাথে দিলে সময় বেশী লাগবে, খোসা সহজে ছাড়ানো যাবেনা। আগে পানি ফুটতে দিবেন। পানি ভালমতো ফুটলে তখন ডিম দিবেন, চামচ দিয়ে, সাবধানে। হাফ বয়েল ৬ মিনিট, ফুল বয়েল ১০ মিনিট। আঁচ মাঝারিতে রাখবেন; পুরা আঁচে থাকলে পানি শুকায়া পাতিলের দফারফা হওনের সম্ভাবনা।
নামানোর পরপরই অল্প কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা পানিতে রাখবেন (তখন ডিমটা/ডিমগুলার খোসা একটু ফাটায় দিবেন)। তাইলে খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।
৩. লেবুর্রস ভাজি খুবই আকর্ষণীয় একটা আইটেম, মানে পিকুলিয়ারিটি ইজ দ্য মাদার অফ অ্যাট্রাকশান... তবে এইটা থিওরিটিক্যালই থাকুক; প্র্যাকটিকালের কাম নাইক্কা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।