আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা ছবি দেখার মজাই আলাদা - দলে দলে ছবি দেখ ০১

রাজা
ব্লগে সিনেমা মাস চলতেছে Click This Link ছবি - গ্রামগজ্ঞের পিরিতি কাহিনী ও চিত্রনাট্য - শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালনা - আজাদী হাসানাত ফিরোজা অভিনয়ে - শাবনূর, জয় , এ.টি.্এম, অমলবোস, আফজাল শরীফ, সুরুজবাঙ্গালী, চিত্রলেখাগুহ কাহিনী সংক্ষেপ - এ.টি.এম ও অমলবোসের বুত্ব শত্রুতায় পরিনত হয়। তাদের দুই সন্তানের বুত্বকে কেন্দ্র করে। বড় হয়ে দুই সন্তান তাদের দুজনের মুখোমুখি যখন হয় তখন সেই শত্রুতা আরো বড় আকার ধারন করে। সেই অবস্খা হাতে নিজেদের ভালোবাসা জয়ের জন্য গল্প আগায় এক ভিন্ন প্রক্রিয়ায় যা ইতপূর্বে বাংলাদেশে কোন ছবিতে দেখা যায়নি। ইহা কমেডী নির্ভর প্রেম কাহিনী।

এই ছবিটি টেলিভিশনের নায়ক জয়ের দ্বিতীয় ছবি। কাহিনী সংক্ষেপ - দুই গ্রামের দুই প্রভাবশালী সরকার পরিবারের ”জামেলা সুন্দরী” অপর দিকে চৌধুরী পরিবারের সুরুজ চৌধুরীর ভালবাসা ও বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দের সূচনা হয়। সুরুজ চৌধুরি ভালেবেসে পিতার অবাধ্য হয়ে জমেলাকে বিয়ে করে বাড়ীতে আনলে খোশমাহমু চৌধুরী পুত্র সহ পুত্র বধুকে পালকিসহ ফিরিয়ে দেয়। জমেলাকে ফিরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের জিত আরো বেড়ে যায়। এ সুযোগে মহাজন সামছুল জমেলার দিকে নজর দেয়।

এবং ষড়যন্ত্র করে সরকার দাদার কাছে সুরুজ চৌধুরীকে খারাপ ও চরিত্রহীন বানায়। দাদ অপমান করে সুরুজ চৌধুরীকে বাড়ী থেকে বের করে দেয় এবং ” জমেলা সুন্দরীকে” সামছুলের হাতে তুলে দেয়। সুরুজ চৌধুরী বাড়ী ফিরলে পিতা খোশ মাহমুদ চৌধুরী পুত্রের অন্যত্রে বিয়ে ঠিক করে। ফকিন্নি বুড়ির কাছ থেকে জমেলার চিঠি পেয়ে সুরুজ চৌধুরীর ভুল ভেঙ্গে যায়। অন্য দিকে সামছুল জোর করে জমেলাকে বিয়ে করার চেষ্টা করে।

জমেলা বাসর ঘরে পাগলামী করে। জমেলার পাগলামী দেখে সামছুল কবিরাজ এনে জমেলাকে ভাল করার চেষ্টা করলে - সুরুজ চৌধুরী ছদ্ম বেশে সামছুলের বাড়ী ঢুকে জমেলাকে উদ্ধার করে পালিয়ে যায়। সুরুজ চৌধুরী জমেলাকে নিয়ে পিতার বুর বাড়ি আশ্রয় নেয়। পিতা খোশ মাহমুদ চৌধুরী বংশের মান- সম্মান রক্ষার জন্য সুরুজ চৌধুরিকে মারার জন্য হন্যে হয়ে উঠে। উকিল বুর সাথে দেখা হয়এবং সুরুজের ব্যাপারে কথা হয়।

চৌধুরীকে উকিল বুর বাড়ীতে নিয়ে আসে। এবং উকিল জমেলাকে সামনে এনে জানায় এই জমেলাই তার পুত্র বধু। সুরুজ চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করে দেয়। কোর্ট সাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে সুরুজ চৌধুরী বেকসুর খালাস পায়। দুই পরিবারের দ্বন্দের অবসান হয়।

এই ভাবেই জমেলা ও সুরুজ চৌধুরীরর কাহিনী রচিত হয়। কলাকুশলীদের নাম : শাবনুর, রিয়াজ, জায়েদ খান,শর্মিলী আহমেদ,এ, টি, এম সামছুজ্জামান আফজাল শরীফ ,জ্যাকি আলমগীর ,ফাইযা কাহিনী সংক্ষেপ -বেগম সুরাইয়া খানের দুই সন্তান জীবন ও আপন। জীবন বড়। আপন ছোট। জীবন চিত্রকলা পাশ করে একটি একক চিত্র প্রদর্শনীর ছবি আকার জন্য তাদের রূপপুর এস্টেটে বাঙলোতে এসে ওঠে।

রূপপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপরূপ। এই রূপপুরে আছেন এক সুবেলা মেহের গায়েন। গায়েনের কন্যা মধুর সুরধ্বনি শুনে ছবি আকা ব করে জীবন পাহাড় থেকে পড়ে যেতেই ছবি হাতে ধরা পড়ে। জীবনের জীবন বেঁচে যায়। ছবিকে দেখে মুগ্ধ হয় জীবন।

অতপর: সাথে ছবি গভীর প্রেমে আবদ্ধ হয়। অন্যদিকে সুরাইয়া খানের ছোট ছেলে আপন সাথী নামের এক বড় লোকের কন্যার প্রেমে আবদ্ধ হয়। সাথী সুরাইয়া খানের প্রায়াত বাবীর কন্যা। বাবী মৃত্যুর আগে সাথীকে তার বড় ছেলে জীবনের বধু বরণ করে নেয়ার জন্য সুরাইয়া খানকে ওয়াদাবদ্ধ করেছিল। জীবন ও ছবির প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় রূপপুরের স্খানীয় সন্ত্রাসী রোস্তম।

মেহের গায়েন জানালো জীবনের সাথে সাথীর সম্পর্ক। জীবন মেহেরকে জানালো ছবি তার ভালোবাসা এবং দুদিন সময় চেয়ে মাকে নিয়ে এসে ছবিকে বধু বরণ করে নিয়ে যাবে। আপনের সাথে সাথীর ভালোবাসার সম্পর্ক সুরাইয়া খান জানতো না। জীবন খান মঞ্জিলে ফিরে আসে। মাকে ছবির পোট্রেট দেখিয়ে তার ভালোবাসার কথা জানাবে।

কিন্তু মা সুরাইয়া জীবনের জন্য তার পছন্দের কন্যা সাথীকে খান মঞ্জিলে বধু করে আনাবে জানায়। জীবন মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে আপত্তি করে। মা সুরাইয়া স্ট্রোক করে জ্ঞান হারায়। সুরাইয়া খানকে হাসপাতালে স্খানান্তরিত করা হয়। ডাক্তার জানায় মাইল স্ট্রোক করেছে।

তাই এ যাত্রায় বেঁচে গেছে। ভবিষ্যতে উনি যাতে মানসিক যন্ত্রনা না পান জীবনকে সতর্ক করে দেয়া হয়। আপন হাসপাতালে ছুটে আসে। জীবনকে বলে ভাইয়া তুমি মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে কর। ছবি জীবন ও জীবনের মায়ের প্রতীক্ষা করছে।

দুদিন পেরিয়ে গেলো। সিান্ত হলো রোস্তমের সাথে ছবির বিয়ে হবে। সুরাইয়া খান তার পছন্দের বউ মা সাথীর ছবি দেখালো জীবন ও আপনকে । আপনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো এযে তারই ভালোবাসার সাথী। কিন্তু একথা বলতে পারলো না মাকে ।

ছবি রোস্তমকে স্বামী মেনে নিতে পারবে না। তাই রূপপুর থেকে পালিয়ে ঢাকা শহর চলে আসে। জীবন ও আপনের দাদু ছবিকে খান মঞ্জিলের চাকরানী কুসুম বানিয়ে সুরাইয়া খানের হাতে তুলে দেয়। জীবন রূপপুরে এসে দেখলো মেহের গায়েন ফাঁসিতে আত্ম হত্যা করেছে। ছবি খান মঞ্জিলে কাজ করতে করতে জানলো সে তার ভালোবাসা জীবনের বাড়িতেই আশ্রয় পেয়েছে।

জীবন ও ছবির মুখোমুখি দেখা হয়। ছবি তার মায়ের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে বলে। বিয়ে ঠিক। ছবি লুকিয়ে জীবনের ঘরে দেখা করতে আসে। সুরাইয়া খানের হাতে ধরা পড়ে।

দাদু সুরাইয়া খান ছবিকে মেরে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। জীবন মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। সুরাইয়া খান বলে জীবন কুসুম নামের ওই চাকরানীর সাথে তোর কিসের সম্পর্ক? জীবন বলে কোন চাকরানীর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। ছবি সাথীদের বাড়িতে এসে তার ভালোবাসার সব ঘটনা বলে দেয়। বিয়ের আসরে বধুকে গলার হার পড়াতে এসে সুরাইয়া খান দেখলো ছবি বধু সেজে বসে আছে।

জীবন অবাক হলো। খুশি হলো। এবং মাকে আজ সে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করলো ছবিকে সে ভালোবাসে। সাথীর বাবা সাথী ও আপন আসলো। সাথীর বাবা বললো সাথীকে আপনার ছোট ছেলে আপন ভালোবাসে।

সুরাইয়া খান ভাবলো তার বাবীর ওয়াদা ভঙ্গ হয়নি। তার:পর দুই বধুকে সুরাইয়া খান বুকে টেনে নিল। হোতাপাড়া গ্রামে ২০০ বিঘা জমির মালিক গাজী এবাদত মোল্লার পরিবারের বসবাস। মোল্লার একমাত্র ছেলে জোয়ান গাজী ও পুত্র বধু নিয়ে তার সংসার। জোয়ান গাজী ছোট বেলা থেকে এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে, সে পৃথিবীতে বাবাকে ছাড়া কোন কিছু বোঝেনা এমন কি বউকে ভালবাসতে বোঝেনা।

আর পুত্রবধু হচ্ছে প্রকৃতির প্রেমিক, তার সুখ, দু:খ, আনন্দ, হাসি, কান্না, সব কিছু প্রকৃতিকে ঘিরে। প্রৃকৃতির সাথে তার রয়েছে গভীর ভালবাসার সম্পর্ক। শ্বশুড় গাজী সাহেব পুত্রবধুর এসব আচরন পছন্দ না করায় ছেলে জোয়ান গাজীকে দিয়ে ও নিজে নানানভাবে পুত্রবধুর উপর অত্যাচার করে। ইতিমধ্যে তার ছেলের মাধ্যমে গাজী তার সংসারে নতুন বংশধর আসার খবর পেয়ে খুব খুশী হন এবং বৌমার গলায় তাবিজ পরিয়ে দেন ও বৌমা বকুলকে প্রকৃতির প্রেম ছিন্ন করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে বলেন। এমনকি গাজী খুশীতে বাড়ীর আঙ্গিনায় বৌমার গোসলের জন্য হামামখানা বানিয়ে দেন।

একদিন হামামখানায় বৌমা বকুল গোলস করার সময় হঠাৎ বৃষ্টি নামে। অমনি বকুল প্রকৃতির প্রেমের টানে উতলা হয়ে হামামখানা থেকে বেরিয়ে পুকুর ঘাটে গিয়ে পুরনো আচরন করা অবস্খায় পিছলে পড়ে পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই বকুলের উপর শুরু হয় গাজীর অত্যাচারের আর এক নতুন অধ্যায়। বকুলকে জ্বীনে ধরেছে বলে জ্বীন ছাড়ানোর নামে ওঝাকে দিয়ে বকুলের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। গাজী পুনরায় ছেলেকে বাপ মা মরা পরের বাড়ীতে কাজ করে খাওয়া পারুলকে দ্বিতীয় বউ হিসাবে ঘরে আনে।

কিন্তু পারুল প্রচন্ড বুদ্ধিমতী মেয়ে। সে এ বাড়ীতে বউ হয়ে আসার পূর্বেই এ বাড়ীর সকল কাহিনী জানে এবং পরিকল্পনা করে শ্বশুড় গাজীকে কিভাবে উচিৎ শিক্ষা দেয়া যায়। গাজী ছোট বউ পারুলের আচরনে মুগ্ধ হয়ে এ বাড়ীর পুরো দায়িত্ব তাকে দেয় এবং এই সুযোগটা পারুল কাজে লাগায়। এক পর্যায়ে বড় বউ বকুল পাগল হয়ে ঘরের বাহিরে চলে আসে। গাজী তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে বকুলকে বেঁধে রাখে।

জোয়ান রাতের আঁধারে বকুলের বাঁধন খুলে দেয়। এমনিভাবে এক সময় ছোট বউ পারুল গাজীকে বলে উঠে আমার তো মনে হয় আপনাকেই জ্বীনে ধরেছে। এ কথা শুনে গাজী ভয় পেয়ে পালাতে গিয়ে মাষ্টারের হাতে ধরা পড়ে। তখন জোয়ান বাবার সুরে ওঝা ডেকে জ্বীন তাড়ানোর নামে গাজীকে বাঁশ চাপা দেয়। গাজী অচেতন হয়ে শুয়ে থাকে আর মনে মনে ভাবে ছোট বউ তার সাথে বেঈমানী করলো।

তখন সে পরিকল্পনা করে ছোট বউকে কিভাবে মারা যায়। সুযোগ বুঝে সে একদিন দা হাতে ঢুকে পড়ে পারুলের ঘরে। পারুলকে জোরে কোপ দিতেই বড় বউ বকুলের দা এর কোপে গাজী নিজেই চিৎ হয়ে পড়ে যায়। ছোট বউ পারুল বড় বউ বকুলের হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে সব দোষ নিজের কাঁধে নিয়ে বড় বউকে জোয়ানের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ ছোট বউ পারুলকে ধরে নিয়ে যায়।

অভিনয়ে : মৌসুমী, শাবনূর, রিয়াজ, এটিএম শামসুজ্জামান, প্রাণ রায়, চিত্রলেখা গুহ, কেরামত মাওলা, খায়রুল আলম সবুজ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ। চলবে... সবগুলা নেট থাইক্য একত্র কইরা রিমিক্স
 

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।