কেউ কেউ একা
আমি মেধার বেশ্যাবৃত্তি করি। নিজের লেখা অপরের নামে বিক্রি করি। শুধু টাকার জন্য। কথায় বলে, মানি ইজ দ্যা সেকেন্ড গড ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। সত্যিই তাই, টাকাই পৃথিবীর দ্বিতীয় ঈশ্বর।
পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য এক নম্বর। এই খাবারের জন্য মানুষ কিনা করছে! গ্রামের সহজ-সরল বালিকা খাদ্যের জন্য শহরে এসে হয়েছে শ্যামি। উগ্র প্রসাধনীতে তাকে আজ দেখা যায় বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে। ভাই ভাইকে খুন করছে, স্ত্রী স্বামীকে ফেলে চলে যাচ্ছে টাকাঅলা মানুষের হাত ধরে। ছেলে মা-বাবাকে অবলীলায় বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে।
মানবতা বিবর্জিত রোবট হয়ে গেছে মানুষ। আসলে কি জানেন-
''টাকা টাকা টাকা শুধুই টাকা
তা না হলে ভালবাসাও ফাঁকা। ''
বিশ্ব এখন ছুটছে টাকার পেছনে। সেটা ন্যায় পথে আসুক আর অন্যায় পথে আসুক। আমাদের সমাজে টাকাই হল যোগ্যতার মাপকাঠি।
যার যত টাকা আছে তাকে তত সম্মান করা হয়। এর যে ব্যতিক্রম নেই, তা নয়। কিন্তু সেটা হাতে গোনা। টাকা যে কত প্রয়োজনীয়, তা প্রতিটি মানুষই জানেন। অতএব এ নিয়ে আর লেখা বাড়াব না।
আমার মত অনেকে আছেন এই বৃত্তিতে। আমি এই পথ ছেড়ে এলেই কি টাকাঅলারা চুপচাপ থাকবে? না। তাদের কথা-
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না।
কথাটা আমি স্বীকার করি। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না।
আমি মেধার বেশ্যাবৃত্তি থেকে সরে এলেই এ সমস্যার সমাধান হবে না। আমি আগের পর্বগুলোতে উল্লেখ করেছি- দেশের সর্বোচ্চ পদকধারী লেখকরা আমার মত মেধার বেশ্যাবৃত্তি করছে। আবার সর্বোচ্চ পদকধারী লেখক অন্যের লেখা দিয়ে হচ্ছে যশস্বী। দেশের বড় বড় অনেক জাতীয় দৈনিকের কর্মকর্তারা ৫০০ টাকার জন্য কত খারাপ লেখা ছাপানোর জন্য হাঁ করে বসে আছে।
এসব কিছুই টাকার জন্য হচ্ছে।
যার টাকা আছে সে লেখা কিনে নিচ্ছে। যার টাকা নেই, কিন্তু লিখতে পারে সে (সবাই না) বিক্রি করছে। সব জায়গাতেই গিভ এন্ড টেক পলেসি বিদ্বমান।
পত্রিকায় যাঁরা কলাম লেখেন তাদের নিয়েও চলে এক রকম দরাদরি। একজন লিখছেন সরকারের পক্ষে।
একজন লিখছে বিপক্ষে। পক্ষে-বিপক্ষের পেছনে আছে খুঁটি। এই খুঁটির জোরেই জোর দেখায় তাঁরা। এটাওকি এক ধরনের বেশ্যবৃত্তি নয়?
আমি এই মহাসাগর মানুষদের তুলনায় খুবই ছোট। জীবনের পথ হাঁটতে গিয়ে দেখেছি অনেক বড় ব্যক্তিদের অবিশ্বাস্য অনেক কিছু।
শুধু দেখেছি। আমার কাছে কোন প্রমাণ নেই। আমি কোন প্রমাণ দিতে পারবো না। আইন প্রমান চায়। তারপরও আমি এই মানুষগুলোর মুখোশ খুলে দিতে চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।