বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
ফ্রেডেরিক বাজিল। মাত্র উনত্রিশ বছর বয়েসে নিহত হয়েছিলেন ১৮৭০ সালের অভিশপ্ত সেই ফ্রাঙ্কোপ্রুশিয় যুদ্ধে। অবশ্য ২৩ বছর বয়েসেই তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলি এঁকে ফেলেছিলেন।
ফরাসি ইমপ্রেশানিষ্ট ঘরানার অন্যতম শরিক ছিলেন বাজিল । আজও তাঁর ছবি আমাদের মনে দোলা দেয়। আর আমরা ভাবি যুদ্ধের অভিশাপের কথা ...
মন্টপেলিয়ের জায়গাটা ফ্রান্সের দক্ষিণপুবে-একেবারে ভূমধ্যসাগর ঘেঁষে। ১৮৪১ সালের ৬ ডিসেম্বর সেখানেই এক সম্পদশালী প্রোটেস্টান্ট পরিবারে জন্ম হয়েছিল ফ্রেডেরিক বাজিল-এর। যা হয়- ছেলেবেলা থেকেই ছবি আঁকার ঝোঁক।
বাপ বললেন-ঠিক আছে। ছবি আঁকা শিখো; তবে তোমাকে মেডিকেলেও পড়তে হবে। বাজিলের মেডিকেল পড়া শুরু হল ১৮৫৯ সালে। প্যারিসে এলেন ১৮৬২ সালে। সমমনা বন্ধু জুটতে দেরি হল না।
পিয়েরে অগুস্ত রোনোয়া, আলফ্রেড সিসলেই- এরা তখন ফরাসি চিত্রকলায় ইমপ্রেশনিজমের পথ সুগম করছেন। বাজিলও মহা উৎসাহে যোগ দিলেন। কাজেই ১৮৬৪ সালে মেডিকেল পরীক্ষায় ফেল মারলেন। রাতদিন কেবল ছবি আঁকায় মনোনিবেশ করলেন। তাঁর চারপাশে তখন ঘুরঘুর করে ক্লোদ মনে, এদুয়ার্দ মানে আর আলফ্রেড সিসলেই প্রমূখ প্রতিভাবানরা।
এরা প্রত্যেকেই যে সম্পন্ন ছিলেন তা নয়- গরীব বন্ধুদের সাহায্য করতেন বাজিল। নিজের স্টুডিও ব্যবহার করতে দিতেন। ব্যবহার করতে দিতেন নিজের রং -তুলি - ক্যানভাস। তারপর যুদ্ধ বাঁধল। যাকে বলা হয় ফ্রাঙ্কো-জার্মান ওয়র।
কখনও বলা হয় আঠারো ’শ সত্তরের যুদ্ধ। প্রশিয়ার সঙ্গে কী নিয়ে ঝামেলা বেঁধেছিল ফ্রান্সের। কী কারণে যুদ্ধে গেলেন বাজিল।
এক মাস পর বাজিলের বাবা রণক্ষেত্র থেকে ছেলের লাশ নিয়ে ফিরলেন!
বাজিলের ছবি দেখতে হলে-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।