আকাশ ছোঁয়ার সপ্ন দেখি-------------- আকাশ ছোঁয়া সপ্ন
এপ্রিল মাসের এক তারিখকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে ঘটা করে একে অন্যকে বোকা বানান ও আনন্দ উল্লাস করার ঘৃন্য রীতি প্রথাচালু রয়েছে।
তার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে মুসলিম জাতির জন্য এক বিয়োগান্ত করুন ইতিহাস। সময়টা ইংরেজী ৭১১সাল। মুসলিম বীর সেনানী তারিখ বীন জিয়াদ আল্লাহর পথের মর্দে মুজাহিদদের কে রণ সাজে সজ্জিত করে সাত হাজার সৈন্যের এক কাফেলা নিয়ে স্পেনের উপকন্ঠে এসে পৌঁছেন। খ্রিষ্টানদের সৈন্য সংখ্যা তখন লক্ষাধিক।
সম্মুখে শত্রুসেনার বিপুল বাহিনী, পশ্চাতে অথৈ সাগর।
যুদ্ধো কৌশলি নেতা তারিখ সিদ্ধান্ত নিলেন---"হয় স্পেনে ইসলামের পতাকা উড্ডিন করব নতুবা আল্লাহর রাস্তায় জীবন উৎসর্গ করে শহীদ হব"। তিনি মুজাহিদ ভাইদের নিয়ে যুদ্ধে অগ্রসর হন।
মুসলমানদের ঈমানী শক্তির কাছে খ্রিস্টানরা পরাস্ত হয়ে এক পর্যায়ে রডারিকের লক্ষাধিক সৈন্য বাহিনীর উপর মুসলমানরা বিজয় লাভ করে। এভাবে মুসলমানেরা স্পেন দখল করে সেখানে মুসলিম সভ্যতার গোড়াপত্তন করেন।
স্পেন ইসলামি শিক্ষা সংস্কৃতি, জ্ঞান- বিজ্ঞান, শিল্প সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়।
ক্রমান্বয়ে মুসলমানেরা ভুলে যেতে থাকে তাদের ত্যাগের ইতিহাস। তারা দুনিয়ার তুচ্ছ্য চাকচিক্য ভোগ বিলাস ও আরাম আয়েসে মত্ত হলো।
ফার্ডিনান্ডের খ্রিস্টান বাহিনী ও ইসাবেলার পর্তুগিজ বাহিনী মিলে গড়ে উঠে বিশাল এক মুসলিম বিরোধী যৌথবাহিনী। তাদের তুলনায় মুসলমানেরা একে বারে তুচ্ছ।
শুরু হয় যুদ্ধো। মুসলমানেরা পরাজিত হয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে ফার্ডিনান্ড এক ঘৃন্য চাতুরী অবলম্বন করে বলে যে------- মুসলমানরা যদি আস্ত্র ফেলে দিয়ে মসজিদ গুলোতে অবস্থান করে তবে তাদের মুক্তি দেয়া হবে এবং অন্যরা তাদের জাহাজ গুলিতে অবস্থান করলে তাদেরকেও মুক্তি দেয়া হবে। এঘোষনা শুনে মুসলমানেরা আস্ত্র ফেলে দিয়ে মসজিদে আশ্রয় গ্রহন করে।
সাথে সাথে নিষ্ঠুর রাজা ফার্ডিনান্ড তার পৈশাচিক তান্ডবতা চালায়।
নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মসজিদ গুলিতে একযোগে আগুন ধরিয়ে দেয়। যখন কুন্ডলিকৃত আগুনের প্রচন্ড উত্তাপে মুসলিম আবালবৃদ্ধোবনিতা চিৎকার করছিল ঠিক তখনই ফার্ডিনান্ড তার স্ত্রী ইসাবেলাকে ডেকে নিয়ে সেই দৃশ্যটি উপভোগ করছিল। আনন্দের আতিশয্যে ফার্ডিনান্ড মুসলিমদেরকে ইঙ্গীত করে স্ত্রী কে বলল - ওহ মুসলমান! হাউ ফুল ইউ আর!! সেই কলঙ্গকময় দিনটি ছিল১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিল।
খ্রিস্টান্দের এই অন্যতম ধোঁকা বাজিকে জাতীয়তায় রূপ দেবার জন্য তার পর থেকে প্রতি বছর পালিত হয় এপ্রিলফুল। প্রথমে এটা ইউরোপের দেশগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল।
আস্তে আস্তে সমগ্র বিশ্বে এমনকি মুসলিম দেশ গুলতেও এই বিষাক্ত জীনাণু ছড়িয়ে দেয়া হয়। এ দিনকে কেন্দ্র করে কে কত বেশি অন্যকে বোকা বানাতে পারে তার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমাদের দেশে তো রিতীমত ধুম পড়ে যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।