বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d
এইতো কয়েকদিন আগের কথা। অফিসে এসে জানতে পারলাম সেদিনই ক্রেডিট কার্ডের জন্য টিন সার্টিফিকেট আর ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি ব্যাংকে জমা দেবার লাষ্ট ডেট (!)। কিন্তু তারসাথে নাকি অরিজিনালটা নিয়ে যেতে হবে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে।
মুশকিলে পড়লাম, অফিসে টিন সার্টিফিকেটের অরিজিনাল কপি থাকলেও তো ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি নাই। যাই হোক, পড়ি কি মরি করে দুটোর ফটোকপি করে রওনা দিলাম ব্যাংকের দিকে।
বিকাল তিনটা। সিকিউরিটি ম্যান কেবল কেবল দরজার সামনে ব্যারিকেট দিচ্ছে এই মুহুর্তে পিচ্ছিল গতিতে পা ঢুকিয়ে দিলাম দরজার মধ্যে। ব্যাংকে ঢুকেই বেশ নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল।
আর বাহিরে ততক্ষণ দরজা লক হয়ে গেছে। আমার মত অনেকেই সেখানে হাউকাউ শুরু করে দিলো। আমি পিছন ফিরে তাদের দিকে মুচকি হাসি হেসে কাউন্টার খুঁজতে লাগলাম।
অবশেষে স্থান হলো তিন নম্বর কাউন্টার। বিশাল লাইন।
আস্তে আস্তে লাইন এগিয়ে যাচ্ছে। আমার সামনের দুইজন আগের লোকটার কাগজ কোনভাবেই তারা নিবে না কারন সে নাকি ন্যাশনাশ আইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি আনেনি। লোকটিও অনেক অনুরোধ করছে কাগজটি নেবার জন্য।
ভাবলাম, তাহেল তো আমাকেও ছাড় দিবে না, কারণ আমিও তো ন্যাশনাল আইডি কার্ডের অরিজিনালটা নিয়ে আসিনি। যাইহোক আমার পালা আসলো।
আমি শুধু ফটোকপি দুটো তার দিকে বাড়িয়ে দিলাম। কাউন্টারের অপর দিকে বসা ভদ্রমহিলা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, "ওকে স্যার, থ্যাংক ইউ"। কিন্তু সে কোন অরিজিনাল কপি দেখতে চাইলো না।
আমি কনফার্ম হওয়ার জন্য আবারো বললাম, "ম্যাডাম, আমার কাজ কি হয়ে গেছে?" উনি বললেন, "জ্বি স্যার"। আমি বুঝলাম না, কেনইবা আমাকে ছেড়ে দেয়া হলো আর কেনইবা আগের ভদ্রলোকটির কাগজ নিলনা? লাইন থেকে বেরিয়ে পিছনে ঘুরতেই দেখি সেই ভদ্রলোক পুরো ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছেন।
আর দেখলাম উনি তেড়ে গেলেন কাউন্টারের দিকে। উচ্চস্বরে কিছুক্ষণ ঐ কাউন্টারের মহিলার সাথে কথা বললেন।
আমি আস্তে করে ব্যাংক থেকে বেরিয়ে আসলাম। দেখলাম তখনও গন্ডোগোল চলছিল। বুঝলাম না ব্যাংকের এমন দ্বি-মুখী আচরন কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।