আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃহস্পতিবারে একজন, শুক্রবারে একজন, শনিবারে একজন, । ‘৩দিনে ৩জন এভাবে আর কতজন’ ?

জানি আমি তোমার দু'চোখ আজ আমাকে খোঁজে না আর পৃথিবীর পরে

দেশের সংবাদ পত্রে চোখ রাখলেই যে খবরটি নিয়মিত আমাদের সকলের চোখে পড়ে, তা হলো, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাঙালি হত্যা। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এই হত্যাকাণ্ড চলে আসছে। একটি স্বাধীন দেশের মানুষকে এভাবে পাখির মতো নিয়মিত হত্যা করা, পৃথিবীর আর কোনো দেশে চলছে কিনা আমার জানা নেই। প্রতিটি হত্যাকাণ্ড শেষে আমরা যা দেখি, তা-হলো দুই দেশের সীমান্ত রক্ষিদের মধ্যে পতাকা বৈঠক। এরপর কি হয় ? মাঝে একটি রাত্র যায় মাত্র।

ভোর হলেই আবার সেই পুরাতন চিত্র। এভাবে আর কতো ? গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্তে খলিলুর রহমান নামে একজন বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। শুক্রবার লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার সীমান্তবর্তী দৈ খাওয়া ইউনিয়নের ভুতিয়া গ্রামে রাশেদুল ইসলাম নামের এক বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। শনিবার চাপাইনবাবগঞের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর এর বিভিশন সীমান্তে জামিরুল ইসলাম নামে আরেক বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এখন আমার প্রশ্ন হলো,যদি কেউ সীমান্ত আইন অমান্য করে তাহলে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ি ওই ব্যাক্তিকে হাটুর নিচে গুলি করা যেতে পারে যদি না ওই ব্যাক্তি সারেন্ডার না করে।

কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই নিয়ম কার্যকরি নয় কেনো ? কেনো এভাবে প্রাণ দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ? দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যেমে এই সমস্যার সমাধান জরুরি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।