thanks all over
সেদিন শুক্রবার।
কলজে বন্ধ। বাসায় একা ভাল্লাগন। ভেবেছি সুলতানার কাছে যাওয়ার ইচ্ছে হতে দেরী করলাম না। প্রচন্ড রোদে রাস্তায় নেমে পড়ছি।
আমাদের বাসা থেকে সুলতানার বাসা খুব বেশী দূরের্ নয়। অর্ধ কিলোমিটার হব। রিক্সায় উঠার ইচ্ছে নেই তাই পায়ে হেটে চলছি।
কাঠফাঁটা রোদ বেদ করে আমি যে সুলতানার বাসায় যেতে পারি তা ছিল ওর কাছে কল্পনাতিত। আমাকে সে দেখেছে দোতলার বারান্দা থেকে।
পা পা করে সিড়ি বেয়ে নীচে নেমে আসে সুলতানা। গেইটের কাছে এসে মুচকি হেসে বলল-
- তুই কি হেটে এসেছিস?
- হু! হেটে আসা কি অসম্ভব কিছু?
- না, মানে তোকে তো কখন হাটতে দেখিনি। তাছাড়া আজ যে রোদ! বাপরে!
ঝাঁজালো রোদের তজষ্ক্রীতায় আমার চেহারা কালো হয়ে গেছে। তাড়াতাড়ি সুলতানার রুমে গিয়ে বেসিনে চোখে মুখে পানি ছিটালাম। তোয়ালে ছিল মুখ মুছে সোফায় বসতেই সুলতানা বললো-
- কী খাবি বল।
- আরে বাবা, তোর বাসায় এসে আমার বলতে হবে কী খাবো, তুই কি হোটলে দিয়েছিস যে মেন্যু না বলা হলে কিছু দেবে না বয়!
আমার কথায় হি হি করে হেসে উঠে সুলতানা। বসা থেকে উঠে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি আর দু'পিস পেপে নিয়ে আসে। আমি আগে পানি পান করে পেপের টুকরা মুখে পুরে বললাম
- এই রুমলের কী খবর, আজ আসবে তো?
- না। সেতো এখন আর ফোনই করে না।
- কেন? রাগ করেছে নাকি?
- জানি না।
রাগ করার মত কিছু ঘটেনি তবে..........
সুলতানা থেমে গেল। আমি জানি সুলতানার সাথে রুমেলের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। আমি তাদের দুজনের বিয়ের ব্যাপারেও আলাপ করেছি। তারা মতামত দিয়েছিল ডিগ্রি পরীক্ষার পর বিয়ে করবে। পরীক্ষা সামন,ে রুমলে খবর করছে না, একথা শুনে আমি অনকটো অবাক হয়ে গলোম।
সুলতানার মনও খারাপ হয়ে গছেে রুমলরেে প্রসঙ্গ তোলায়। কী হয়ছলেি জানার জন্য বললাম-
Ñ আচ্ছা কী হয়ছল,িে সত্যি করে বলতো।
Ñ সে কথা বলা যাবে না। ছলরোে বশ্বাসঘাতিক। আমি এ প্রসঙ্গে কছুি বলতে চাইন।
ে আমি সদ্ধান্তি নয়ছিিে বয়েি করবো না।
Ñ মান?ে
Ñ ব্যাচলরে থাকবো। ছলদরেেে প্রতি আর বশ্বাসি নই। ে
আমি হতভম্ব হয়ে গলোম। কারণ কী? অনকে চষ্টো করে তার কাছ থকেে যা শুনলাম, তাতের্ আম মমািহত হয়ে পড়।
ি রুমলকেে প্রচন্ড ভালবাসতো সুলতানা। রুমলও। ে কন্তুি দুজনরে মধ্যে ফাটল ধরবে এটা ছলি চন্তারি বাইর। ে সুলতানাকে রুমলে চয়ছলিেে তার বন্ধুর বাসায় নয়েি সক্সে করত। ে কন্তুি সুলতানা রাজি না হওয়ায়, রুমলে যোগাযোগ বন্ধ করে দয়ছ।
েিে আমি সুলতানার খুব ঘনষ্টি বান্ধবী। কন্তুি এতদনর্ িতার পাসানোল ব্যাপারে ইন্টাফয়োর করন। িি তাই আমার জানা ছলি না তাদরে ব্যাপার। ে আমি সুলতানা আর রুমলকেে নয়েি ভাবনায় যখন ডুবে গছিে তখন সুলতানা জানতে চাইলো-
Ñ লীনা, তুই বল- এত রোদরে মাঝে হঠাৎ কী উদ্দশ্য?েে
Ñ একা ভাল্লগনেিে তাই।
Ñ বাসায় আর কউে নই?ে
Ñ আছ।
ে আব্বা আর আম্মা খালার বাসায় বড়োতে গছন। েে তারা শষে বয়সে একটু আনন্দ করুক।
Ñ আচ্ছা, রোদরে মধ্যে তোর কষ্ট হয়ন?ি
Ñ উহু। আসলে কষ্টটা মনরে সাথ। ে স্বাভাবকি ভাবে মনেে নলইিে হয়।
Ñ ইয়,ে ফল্মি দখব?িে
Ñ ভাল ছবি হলে দখতেে পার। ি
Ñ নীল দখব,িে নাক.....ি
Ñ নীল মান?ে ও, না না, এসব আমি পছন্দ করি না।
সুলতানা বাংলা ছবরি ভসডিিি প্লে কর। ে কছুক্ষণি ছবি দখেে আর কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা হয়ে গল। ে আমি বসা থকেে উঠে বললাম-
Ñ সুলতানা, আমি রুমলরেে সঙ্গে কথা বলে দখ,েি ও কী বল?ে
Ñ প্লজ,ি লীনা, ওই বইমোনরে সাথে কোন কথা নই,ে আমি তাকে ঘৃনা কর।
ি
Ñ ক¤প্রমাইজ করতে অসুবধাি কোথায়?
Ñ আছ। ে তুই বুঝবন। িে অন্যদনি সব বলবো।
কী আর করা যায়। আমি আলো আধারী সন্ধ্যায় আবার রাস্তায় নমেে পড়।
ি সুলতানা আর রুমলরেে কথা বার বার মনে পড়তে থাক। ে এত র্গভীর সম্পক ফাটল ধরলো কন?ে ভূল বুঝাবুঝি থাকতইে পার। ে সমাধান করা যায়। কন্তুি সুলতানা প্রচন্ড ক্ষপ্ত। ি তাহলে আমি তাদরে জন্য কী করতে পার?ি ভাবতে ভাবতে আমি যখন রাস্তায় হাটছলাম,ি তখন আমাকে একটি মোটর সাইকলে ধাক্কা দয়।
ে ভারসাম্য রক্ষা করতে না পরেে হুমড়ি খয়েে পড়ে গলোম। তারপর....কীভাবে হাসপাতালে গয়ছিিে জাননা। ি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।