আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিমেন জাদুঘরে জার্মানি থেকে লুন্ঠিত শিল্পকর্মের প্রদর্শন হচ্ছে

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জার্মানির আখেনের একটি শিল্প সংগ্রহশালা থেকে প্রায় ২০০ শিল্পকর্ম পাঁচার হয়ে যায়৷ অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে এই শিল্পকর্মের একটি অংশ জার্মানিতে বিনিময় শর্তে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে৷ আখেনের সোয়ারমেন্ট-লুডভিগ জাদুঘরে খোয়া যাওয়া শিল্পকর্মগুলোর স্থানে গাঢ় রঙয়ের উপরে খালি ফ্রেম বা সাদাকালো ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে৷ যা দেখে দর্শনার্থীরা বিরক্তবোধ করতেন৷ এই শিল্পকর্মগুলো ফিরিয়ে আনার পথ কারো জানা ছিলনা৷ জাদুঘরের পরিচালক ফেন ডেন ব্রিন্ক বলেছেন, ‘আমরা সেই ছবিগুলোই প্রদর্শন করছি যা এখন আর এখানে নেই৷’ তার সঙ্গে সঙ্গে ফেন ডেন ব্রিন্ক ইউক্রেন থেকে একটি আশ্চর্যজনক সংবাদ পান৷ ক্রিমেনে অবস্থিত সিমফেয়ারপুল শিল্প – জাদুঘরে জার্মান পর্যটকরা এমন কিছু শিল্পকর্মের সন্ধান পান যা জার্মানিতে তৈরী হয়েছে৷ পর্যটকদের তোলা ছবি এবং ভিডিও চিত্র পর্যবেক্ষণ করে আখেনের শিল্প বিশেষজ্ঞরা এগুলোকেই খোয়া যাওয়া শিল্পকর্মের অংশ বলে দাবী করেছেন৷ যে কারনে ফেন ডেন ব্রীন্ক নিশ্চিত করেছেন প্রদর্শনীর তালিকায় প্রকাশিত ছবিগুলো তাদের হারিয়ে যাওয়া শিল্পকর্ম৷ ইতিমধ্যে সিমফেয়ারপুল জাদুঘরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷ ফেন ডেন ব্রীন্ক বলেছেন খুব শীঘ্রই আখেনের একটি বিশেষজ্ঞ দল এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে ইউক্রেনের রাজধানী ক্রিমেনে রওনা হবেন৷আখেন জাদুঘরের একজন বিশেষজ্ঞ কিউরেটর হেনরিক বেকার বলেছেন, তারা ক্রিমেনে পর্যবেক্ষক দল হিসেবে নিশ্চিত হতে যাচ্ছেন যে ঠিক কোন কোন শিল্পকর্মগুলো ওখানে আছে এবং কি অবস্খায় আছে তা দেখার জন্য৷ ব্রীন্ক আরো বলেছেন, সিমফেয়ারপুল আর্ট মিউজিয়ামের প্রধান লারিনা কুদরিয়া সোভার সাথে এব্যাপারে যোগাযোগে অগ্রগতি হয়েছে৷ তিনি বলেছেন, প্রাক্তন রাশিয়ার সম্পৃক্ত বিষয় হলেও তিনি এবং তার সহকর্মীদের নিয়ে এব্যাপারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন৷ তিনি আরো বলেছেন, রাজনৈতিক জটিলতা এড়িয়ে ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই এই খোয়া যাওয়া শিল্পকর্মগুলোর ব্যাপারে সমাধানে আসা সম্ভব৷ কুদরিয়া সোভাও জার্মানির পক্ষ থেকে একইধরনের আচরণ আশা করছেন৷ তিনি চাইছেন দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত অবস্থায় বিনিময় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে৷ জার্মানি থেকে ঘুরে গিয়ে তিনি আরো আশা ব্যক্ত করেছেন যে তার জাদুঘরের সংস্কৃতি বিভাগের ব্যাপক উন্নয়নেও জার্মানি সহায়তা করবে৷ তিনি আরো বলেছেন, আমরা রাজনীতিবীদ নই বরং জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য কাজ করি, আমরা একে অপরের সহযোগী৷’ উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, এই লুন্ঠিত শিল্পকর্মের গল্প শুরু হয়েছিল ১৯৪২ সালে৷ এই শিল্পকর্মগুলো আখনের আখেনের সংগ্রহশালা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল৷বোমার আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য সতের শতক ও ঊনিশ শতকের মূল্যবান শিল্পকর্মগুলো পূর্বজার্মানির ড্রেসডেনের কাছে মাইসেনে আলবেখটসবার্গ প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।