কোল থেকে পরে যায় বিড়ালের উম
______________________
কিছু কিছু লোক থাকে অযথাই কান্নাকাটি করে। রাস্তা হয়ে গেলে বেশ ভাল, সে নিজেও সেই সুবিধাই নেবে। বরঞ্চ না থাকলেই, কেউ শোনে না শোনে না করে নিজে নিজে প্যানপ্যান করবে, " শালা! কী অবস্থা। সবগুলি ইডিয়ট। এইদিকে তাদের এনে, মাটিতে ঘসে সব বাল তুলে ফেলা দরকার"।
ফলস্বরূপ, বাড়িতে আসবে না তরকারি বাজার, পকেট আরও একদিন অত্যাচারিত হওয়ার অগ্রিম বুঝে নেবে আর সে নিজে, অজান্তেই অস্বস্তি, স্বস্তির মাঝামাঝি বুঝে, আজকের মত শ্বাস ফেলবে।
কিন্তু রাস্তা হওয়ার বেলা, গাছ কাটানিয়েও একই প্রতিক্রিয়া। বিলাপ।
আমি সেইদলের, শ্যাওলা ধরা প্রাণী।
সবুজ, জল-খাল বিল, গল্প শুনে-টুনে অগ্রহ তেমন হয়নি।
সে-ই-দে-শ-বা-ড়ি, এমন দীর্ঘশ্বাস বরং বিরক্তই লাগে। শিকর-বাকর উপমা, নয়ত কবি, সমাজবিদের আবেগ চুইয়ে ঢুকে পরে বলে মনে হয়। ভাবের ঘরে কিছুটা চুরি। অন্যদিকে গায়ে এখনও কাটাদেয়, মাথায় গ্রেনেড বইবার কথায়, গুলি ও রক্তের গন্ধ, কেবলি মনে করায়, যারা গুলি করে যুদ্ধে তারা শুধুই বেতনধারি, যারা মরে তারাও তাই, সাধারন মানুষের কথায় বোধকরি: এক এবং অভিন্ন।
এদিকে কিছু রাখি, সেদিকে কিছু ছাড়ি, তেমন করে করে হিসাব মেলে না, গোঁজামিলে পাতার শেষদিকে পড়ে থাকে আবারও লাশ আর শকুন, পিতৃত্বহীন শিশু।
সক্রিয়তাগিদ থেকে জাতিয়তা, দেশপ্রেম মুঝে গেছে তখনি।
কিন্তু, বুকে গুলি আমার নেই, ক্ষতও নেই ভিটে ছাড়ার। সেসব অনুপান, সমাধানে, আত্মরক্ষায় প্রাকৃতিক সূত্রে চলে আঁকিবুকি।
তারপর, আবার, লঘিষ্ট আর গরিষ্ট উৎপাদক বীজ পুঁতে চাড়া গাছ, বেড়ে উঠে, লতার ধারে, কষে পুড়ে মুখ ও অসুখ। বাড়ির চারপাশ, পড়শি;র মুখ স্থায়ী হতে হতে সেটা আদর্শদেশপ্রেমিকের কোড ভেঙ্গে ফেলে এবং উড়ে যায় সব অঙ্কখাতা।
আমিও পাসপোর্ট করিনা বছর থেকে বছর। যততা অলসতা, টাকার অভাব পাল্লায় ওঠে-নামে, সেটাই পাল্লার বাটখারায় পার্থক্য বুঝতে থাকি, চিন্হ ও চরিত্রে টাকার অভাব, অলসতা: পাসপোর্ট চাইনারই অনুবাদ।
( আমার বাংলাদেশ দ্বিরাগমনের প্রবঞ্চিত অধ্যায়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।