প্রতি,
নিঃসঙ্গ পতন
তোমার পত্র পেয়ে এক আকস্মিক আনন্দ পেলাম এবং একই সাথে তোমাকে চিনতেও পারলাম না।
কাহিনি হল, ফেরার পথেই ছিল রোদের ডাকঘর, সেই ছাঁদহীন ঘরে মরনের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে তরঙ্গভঙ্গের সুর। সেই সব সুর নিয়ে পাঠাভ্যাসের মতো গড়ে তুলি আপনার চিন্তা-প্রাচীর। বহু জ্ঞান-অজ্ঞান এসে জড় হলো সাজানো মগজে। বহু বহু খেলা শেষ হয়ে আরও কত খেলার আয়োজন হলো শুধু তুমি নেই আজ এই বাহুল্যে।
প্রতিবার পতনের পরে এক অদ্ভুত নির্লিপ্ততায় ডুবে যায় বাতিঘর। তবুও ঠিকঠাক গড়ে উঠে আজব বিমান। মহাকাশের রেস্তোরায় বিক্রি হচ্ছে না কি গোলাপি বার্গার? আর এই বাঙলায় বয়ে গেছে পথের রেখা; বয়ে গেছে কতোসব বাউলা নদী। খরার কালে মাটি হিংস্র হলে বন্যায় ডুবে যায় তুলে রাখা ছাতি।
যদিও মৃত্যুরে ডরায় পাখি-
বেঁচে থাকাই জীবের মৌলিক লোভ।
আজ এই পর্যন্তই;
সময় আমাদের পথ নির্ধারণ করে দেবে।
আপাতত পূর্বপুরুষের ক্ষতচিহ্ন
আমরা যে যার শরীরে মেলে দিয়ে
উড়াতে পারি এমন এক পাখি
যে কেবল পতনের দিকেই চেয়ে থাকে...
ইতি
নৃপ অনুপ
১৮.০৮.২০০৭
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।