শ্রদ্ধা আর মমতাই তোমাকে জয়ী করতে পারে; তুমি তোমার জ্ঞান প্রয়োগ কর।
আনুমানিক ৬৩৬ খ্রিস্টাব্দ। আ্যংলো-স্যাক্সন রাজা আন্নার প্রাসাদ আলো করে জন্ম নেয় এক মেয়ে, তার নাম রাখা হয় ইথেলড্রেডা। রাজকুমারীটি পরে অবশ্য তার ডাকনাম অড্রে (Audrey)-তেই বেশি পরিচিত হয়ে উঠেন।
জৌলুস আর জাঁকজমকের ভেতর বড় হতে থাকেন রাজকুমারী।
কৈশোরে লেইস-ফিতার জমকালো রুমালের প্রতি তীব্র এক মোহ গড়ে উঠে তার, সারাক্ষণই তার গলায় দেখা যেত রঙ-বেরঙের রুমাল। এক সময় নর্দ্যাম্ব্রিয়ার রানী হন তিনি, কিন্তু পরে, আজীবন কুমারীত্বের শপথ গ্রহণকারী মেয়েটি নিভৃতে স্রষ্টার উপাসনার জন্য গড়ে তুলেন একটি ধর্মাশ্রম, abbey of Ely। ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে ক্যামব্রিজশায়ারে মারা যান তিনি, মৃত্যুর আগে তাঁর ঘাড়ে সৃষ্টি হয়েছিল বিশালাকার এক টিউমার। অড্রে অবশ্য টিউমারটিকে তাঁর শৈশব কৈশোরের তীব্র ভোগবিলাসী জীবনের বিরুদ্ধে স্বর্গীয় বিচার হিসেবেই দেখেন।
মৃত্যুর পর অড্রেকে সন্ত উপাধিতে ভূষিত (canonize) করা হয় এবং তাঁকে পূর্ব ইংল্যাণ্ডের ঈলী নগরের রক্ষাকর্তা সন্ত (patron saint of Ely) নির্বাচিত করা হয়।
মধ্যযুগে অড্রের স্মরণে গড়ে উঠে নানা ধরণের মেলা, যা পরিচিত হয় সন্ত অড্রের মেলা নামে। এসব মেলায় বিক্রি হতো লেইসের হরেক রঙের রুমাল, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সস্তা জমকালো কাপড় থেকে তৈরি। চটকদার এসব কাপড়কে মানুষ বলতো অড্রের লেইস (Audrey lace)। মেলায় আসা কিশোরীদের কাছে এসব লেইসের ছিল তীব্র আকর্ষণ।
১৭ শতকের মধ্যে Audrey lace বচনটি বিকৃত হয়ে পরিণত হয় tawdry lace-এ যার মানে দাঁড়ায় রুচিহীনভাবে জমকালো, চটকদার (tastelessly ornamented) লেইস।
আর tawdry বিশেষণটি ব্যবহৃত হতে থাকে এরকম সস্তা চটকদার জিনিসকে বুঝাতে:
"The shop was full of tawdry jewelry."
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।