সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় শাহবাগ তারুণ্যের আগুনে বহ্নিশিখায় পরিণত হয়েছে। আর সে আগুন ছড়িয়ে বাংলা আঁনাচে কাঁনাচে।
ছাত্র জনতা শিক্ষক দিনমজুর কে আছে বাকি এই জোয়ারে শামিল না হয়ে! রাজনোইতিক দল থকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের মোহনার এক নাম শাহবাগ। আমাদের গণজাগরণের মঞ্চ। আমাদের প্রজন্ম চত্ত্বর।
প্রায় ১১৫ ঘন্টা ক্লান্তিহীনভাবে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি ওই কসাই রাজাকার কাদেরের বিরুদ্ধে।
একটাই দাবি, কাদের ফাঁসি।
এমন কোন মুক্তমনা, দেশপ্রেমী তরুণ তরুনী শিশু, বৃদ্ধ বাদ নেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই আন্দোলন সংহতি প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে।
কিন্তু সেই তথাকথিত তারুণ্যে উদ্বেলিত মাহি বি চৌধুরী, আন্দালিব পার্থরা কোথায়?
কোথায় তাদের তারুণ্য? কোথায় তাদের তারুন্যের শৌর্যবীর্য?
মিডিয়া থেকে শুরু করে সংসদের ভিতরে বাহিরে কথা রস্ময় কথাই না শুনেছি তাদের !!
আমি নিজেই ব্যক্তিগতভাবে ইউটিউবে সংসদে দেয়া পার্থ'র বক্তব্য শুনেছি।
শুনে রক্ত গরমও হয়েছে।
ভেবেছি এই বুঝি একটা পুরুষ, একটা তরুণ জন্ম নিল এই নোংরা রাজনীতির বলয়ে!!
কিন্তু আমি, আমরা যে ভুল, এখন বুঝছি!! ওরা যে নপুংশক তা ঢের প্রমান পাচ্ছি!!
ওরা যে রাজনীতিবিদ, ওরা যে স্বার্থের জন্য ব্রান্ড প্রমোশন করে তা বুঝলাম !!
ওরা যদি সত্যিই দেশপ্রেমিক হতো, এই মা মাটিকে ভালবাসতো তবে ওরা নিজেরাই এ আন্দোলনে তাদের উপস্থিতি জানান দিতো!!
বিড়ালের মতো চুপশে থাকতো না !!
আমরা কি পারিনি ওদের বয়কট করতে? ওই মাহী চৌধুরী, পার্থদের মতো হারামখোর বিরুদ্ধে কথা বলতে?
অবশ্যই পারি।
ওরা না আসায় আমরা কি থেমে আছি? বাংলার জনগন কি থেমে আছে?
বিদ্যুতবেগে সবার শিরা উপশিরায় পৌছে যাচ্ছে ঘুমিয়ে থাকা দেশপ্রেম।
এ বাংলা আমার। কোন রাজাকার বা রাজাকারের বেজন্মা সন্তানের নয়!
জয় বাংলা!
জয় হোক শাহবাগের গণ মানুষের আন্দোলন!!
একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।