বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ
আজ তো ২০০৯ সালের মার্চ মাসের ৬ তারিখ। আর দুদিন পরই -অর্থাৎ ৯ মার্চ তাঁর জন্মদিন। তাঁর জন্ম হয়েছিল মুমবাই শহরে -১৯৫১ সালে।
ছেলেবেলায় বাবার কাছে তবলায় তালিম নিয়েছিলেন। তবলায় দারুন হাত তাঁর। তবলা নিয়ে তিনি যে কী করতে পারেন -তা যারা জানেন তারা জানেন। তাঁর তবলার বোল শুনলে মুগ্ধ হতেই হয়। তাঁর সৌভাগ্য এই যে তাঁর জন্ম হয়েছিল ভারতের এক বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিবারে।
তাঁর বাবা প্রখ্যাত তবলাবাদক আল্লা রাখা। ১৯১৯ সালে আল্লা রাখার জন্ম ভারতের জম্মুর কাছে ফাগওয়াল গ্রামে । ১২ বছর বয়েসে তবলা শেখা শুরু। আল্লা রাখার সঙ্গীতজীবন শুরু লাহোরে; তারপর অল ইনডিয়া রেডিওতে। তারপর তৎকালীন বোমবাই।
উস্তাদ বড়ে গুলাম আলী খাঁ, উস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ, বসন্ত রাই, পন্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেছেন উস্তাদ আল্লা রাখা।
এমন বাবার ঘরে জন্ম নিয়ে তিনি যে অসাধারণ তবলা বাজাবেন-সেই তো স্বাভাবিক।
হ্যাঁ। আমি উস্তাদ জাকির হোসেনের কথা বলছি।
উস্তাদ জাকির হোসেনই তবলার জাদুকর।
তাঁর বোলের ধ্বনির সঙ্গে অন্য কারুরই বোলের ধ্বনি মেলে না। একাধারে মুগ্ধ করেছেন পশ্চিম ও প্রাচ্যের দর্শক শ্রোতাকেই। ২০০৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ছিনিয়ে নিয়েছেন ৫১তম গ্র্যামি এওয়ার্ডস। ভারত সরকারও তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে উস্তাদ জাকির হোসেন লাভ করেছেন পদ্মশ্রী এবং ২০০২ সালে- পদ্মভূষন ।
উস্তাদ জাকির হোসেন
উস্তাদ জাকির হোসেনের বাবা উস্তাদ আল্লা রাখা
উস্তাদ জাকির হোসেনের আরও কিছু ছবি
উস্তাদ জাকির হোসেনের স্ত্রী কত্থক নৃত্যশিল্পী আন্তোনিয়া
তাঁর তবলা শুনুন
বাবা উস্তাদ আল্লা রাখার সঙ্গে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।