চেয়ারে এখনো বসে আছে অন্ধকার, খাটে শুয়ে আছে একপ্রস্থ আলো
অথচ কোথায় বসব আমি? কোন সাধনার শবাসনে নয়
আসলে বসে আছি ঘাসে─তৃণভোজী শুধু নিরীহ পশুরাই হয়
তবু হরিৎসেবীরা স্পর্শ নেয় হাতে; কোমল হলেও আজও
তাদেরকে মনে মনে আমরা অসুস্থ বলি─তাই উঠে যাচ্ছি...
কেন যে জানালা বন্ধ রাখো? তার পাশেই কতগুলো জলচিত্র
দেয়ালে ঝুলিয়ে ভাবছ তুলনামূলক ভাল লাগছে সেই খণ্ডদৃশ্য!
তোমার ভাবনায় ক্ষুদ্র বনসাই আজ তার নিজস্ব অহমিকায়,
তোমার কোমরে প্যান্টটি লাগাতে একটা বেল্টের প্রয়োজন হয়,
তোমার কুটির, প্রাসাদ আজ─কেননা একটা চড়াই বেঁধেছে তার নীড়।
আমি তো হাতে নির্দোষ ইক্ষু নিয়েও পরিজনের কাছে শুনেছি
মানুষের বাহুর চাইতে দীর্ঘ সকল বস্তুই নাকি মারণাস্ত্র!
এমন কী সামাজিক গান কণ্ঠস্থ হলেও আমার মনে থাকে না সুর!
নতুন করে কি আমি এ-ই বিশ্বাস করব? শেখা বাকি সেই মন্ত্র:
শেষ রাতে কুকুরের স্বাগত ধ্বনিতে যারা ঘরে ফেরে তারাই মহান লোক!
বর্ণান্ধ বোনটিকে রঙের বাক্স দিয়ে দেখি শুধু সাদা ও কালো
চোখে তার বসে আছে বর্ণচোরা ব্ল্যাকহোল; সব গভীরতা ছুঁয়ে যাচ্ছে দ্রুত...
পৃথিবীর সব রঙ উঠে গেলে পিঠে রোদ, সামনে ছায়া─রঙ দু’টি ধ্র“ব হোক।
(রচনাকাল-২০০১ সাল)
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "হুইসেল বাজছে পালাচ্ছে" তে প্রকাশিত)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।