আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকার-আলবদরদের সকল ব্যবসায়িক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ সামাজিক আন্দোলন অব্যাহত রাখা প্রসংগে-

সব ভাল কথাই ভাল নয়........... প্রিয় দেশবাসী, সবাইকে জানাই সংগ্রামী শুভেচ্ছা। “প্রজন্ম চত্ত্বর” থেকে ফাঁসির দাবি তুলেছি। আপনারা জানেন, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ এই “প্রজন্ম চত্বর” থেকে অল্প দূরে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে গঠন করেছিলেন গণ আদালত। আর সেই আদালতের ঐতিহাসিক বিচারে ফাঁসি হয় গোলাম আযমের। এরপর দীর্ঘ একটি সময় পেরিয়ে যায়।

২০০১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীত্বের মাধ্যমে কলঙ্কিত হয় বাঙ্গালির ইতিহাস। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে প্রথম অধিবেশনেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাবনা পাশ করেন। এই প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে গঠিত হয় অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ট্রাইবুনাল অত্যন্ত সফলতার সাথে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করে আসছেন। এমন একটি পরিস্থিতিতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম ব্লগ ও ফেসবুকের মাধমে একটি সাধারণ দাবিতে একত্রিত হয়।

সে দাবি ফাঁসির দাবি। আপনারা জানেন, “ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক” এ আন্দোলন শুরু করে। প্রথমদিন থেকেই আপনাদের সবার হাত ধরে পূর্ণতা পায় এ আন্দোলন। রূপ নেয় আজকের এই মহাসমাবেশ। যা আজো অব্যাহত রয়েছে।

এই সমাবেশ দ্বর্থ্যহীন ভাষায় ঘোষনা করেছে যে, মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সর্ব্বোচ শাস্তির দাবিতে সমগ্র বাঙ্গালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। এটা কোনো রাজনীতির প্রশ্ন নয়। সামাজিক সার্থক এক আন্দোলন। যা দল-মত-নির্বিশেষে সবার স্বতস্ফুর্ত সমর্থন রয়েছে। বাংলাদেশের প্রগতিশীল জনতা এই অভিন্ন আদর্শের আন্দোলনকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য আরে সংঘবদ্ধ হোয়া দরকার।

ঘরে ঘরে নয় প্রতি মহল্লায় মহল্লায় এই আদর্শিক লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান সহ সকল অস্তিত্বকে বিনাশ করার জন্য তাদের শক্তির ভীতকে দূর্বল করতে হবে। পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের মতো দেশের শত্রু, জাতীর শত্রুদের চিহ্নিত করে তাদের বর্জন করতে হবে। একটি জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক ব্যবস্থা এই তরুণ প্রজন্মের মাধমেই সম্ভব। যারা প্রকৃত জনকল্যাণমুখী উন্নয়নের কান্ডারী হতে হবে।

এই মহাসমাবেশ থেকে আমরা উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জন, সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুততর করা এবং তাদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে তরুণ প্রজন্মসহ বাংলাদেশের সকল ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবি, বুদ্ধিজীবি, সংস্কৃতিকর্মী, নারী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, শিল্পি-সাহিত্যিক সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ইস্পাত দৃঢ় জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আজ আমরা শপথ করছি-যুদ্ধাপরাধী জামাত শিবিরের রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ ও তাদের এদেশের নাগরিকত্ব বাতিল না করা পর্যন্ত রাজপথে ও অনলাইনে সোচ্ছার থাকবো। যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান- ইসলামি ব্যাংক, ইবনে সিনা, ফোকাস, রেটিনা কোচিং সেন্টারসহ সব কিছুই আমরা বয়কট করবো। আমরা মনে রাখবো এগুলোর মাধ্যমেই অর্থ সংগ্রহ করে তারা এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যেসব শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সংগঠন তৈরি করে শিশুদের মাঝে স্বাধীনতা বিরোধী বিষবৃক্ষ বহন করেছে, সেগুলোও বয়কট করবো।

এক কথায় রাজাকার-আলবদরদের সকল ব্যবসায়িক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ করার দাবিতে কাজ করবো। প্রয়োজনে প্রত্যেক জেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ভিত্তিক সামাজিক আন্দোলন কমিটি করে নতুন নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হবে। সকলের প্রতি আবারো উধাত্ত আহ্বান রইল। প্রয়োজনে- সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন। +৮৮০১৭২৪-১০০৫৩২ (রফিকুল কাদের) +৮৮০১৬৭১-১২৬২২০ (সালেহ আহমেদ) E-mail: Facebook: /facebook.com  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।