প্রথম আলোতে পড়লাম, বিডিআর এর খুনী জওয়ানেরা সহানুভূতি আর আইনী পরামর্শের জন্য বাড়িষ্টার রাজ্জাক সহ আরো ১০-১২ জনের লগে যোগাযোগ করিয়াছিল। লাশ গুম নিয়া নাকি তারা বাড়িষ্টার রাজ্জাকসহ এই ১০-১২ জনের কাছ থিকা নানা পরামর্শ পাইছিল।
হুমমমমমমমমমমমমমমমমমমমমম।
আমরা আগেও দেখছি যে জামাতশিবির খুনখারাপি করলে লাশ গণকবর দেয় (বুদ্ধিজীবী হত্যা কমিটেড বাই ইসলামি ছাত্র সংঘ আন্ডার দ্য নেইম আলবদর) অথবা ময়লার মধ্যে ফেলে (প্রফেসর ড: তাহের হত্যা কমিটেড বাই সালেহী এন্ড কোং)। কাজেই লাশ গুম নিয়া যে দুইখান পরামর্শ বিডিআরের খুনীরা কামে লাগাইছিল, তার সাথে মগবাজারের কর্মকান্ডের বড়ই মিল পাওয়া যায়।
রাজ্জাক ছাহেবের জুবানি অনুযায়ী, লেটস ওয়েট এন্ড সি।
পিলখানার ঘটনায় জামায়াত নেতা রাজ্জাককে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিআইডি
তালিকায় আরও কয়েকজন আইনজীবী
নিজস্ব প্রতিবেদক
পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাককে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তলব করেছে। আজ সোমবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সিআইডির তলব আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আবদুর রাজ্জাক। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে নির্দেশন না দিয়ে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দেন।
এদিকে পিলখানার ঘটনার সময় হাজারীবাগ এলাকায় মিছিল করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, গত ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় হত্যাকান্ডের সময় বিডিআর জওয়ানেরা এ নিয়ে কয়েকজন আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা এদের কাছ থেকে সহানুভুতি ও আইনগত সহায়তা চান। তাঁরা লাশ গুম করা নিয়েও কথা বলেন। জওয়ানেরা তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ পান বলে জানা গেছে।
বিডিআর জওয়ানদের স্বীকারোক্তি ও তাদের টেলিফোন আলাপ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের সুত্রে জানা গেছে। এরপর সিআইডি এঁদের জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে জামায়াত নেতা আবদুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সিআইডি সুত্র জানায়, এ তালিকায় আরও ১০-১২ জনের নাম আছে। পর্যায়ক্রমে এঁদের সবাইকে ডাকা হবে।
এঁদের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানান। এর আগে পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রায় আড়াই শ লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সুত্র জানায়, গত শনিবার জামায়াত নেতা আবদুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দপ্তরে তলব করা হয়। পিলখানা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ চিঠি দিয়ে তাঁকে সিআইডির কার্যালয়ে আসতে বলেন। একই সঙ্গে পর্যালোচনার জন্য তাঁর পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়।
আবদুর রাজ্জাক এই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
সিআইডি চিঠি দেওয়ার পর এই জামায়াত নেতা আশঙ্কা করেছেন, তিনি গ্রেপ্তার হতে পারেন। এই কারণে রিট আবেদনের পাশাপাশি তিনি আগাম জামিন চেয়েছেন। তাঁর আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের একক বিচারপতি মো. শহিদুল ইসলাম আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দেন। ওই দিন জামিনের বিষয়ে নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির নির্দেশ দেন।
শুনানিতে অংশ নিয়ে আবদুর রাজ্জাকের পক্ষে আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, ‘সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজ্জাককে বিডিআর সদর দপ্তরের ঘটনায় জড়াতে চাইছে। ব্যারিস্টার রাজ্জাক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় না। ’ আদালত এ সময় বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত নয়। এই ধরনের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
তা না হলে দোষীদের খুঁজে বের করা সহজ হবে না। ’ এ পর্যায়ে আদালত আবদুর রাজ্জাককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনি যাবেন। তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। পাসপোর্ট ফেরত নিয়ে চলে আসবেন। ’ আদালত পাসপোর্ট পর্যালোচনার পর তা ফেরত দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
শুনানির পর জামায়াত নেতা আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডে আমি আদালত অবমাননার মামলা করেছি। তাই সরকার বিডিআর সদর দপ্তরের ঘটনায় আমাকে জড়াতে পারে। সে জন্য আগাম জামিনের জন্য আদালতে এসেছি। ’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিদেশে যেতে চাইলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাকে বিমানবন্দরে বাধা দিয়েছে। পরে এর বিরুদ্ধে আমি হাইকোর্টে রিট করি।
হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে বিদেশে যেতে চাই। কিন্তু আবার বাধা দেওয়া হয়। আমি আদালত অবমাননার মামলা করি। ওই মামলা থেকে রক্ষা পেতে আমাকে বিডিআর হত্যাকান্ডে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ’
আবদুর রাজ্জাক বলেন, আজ সকাল ১০টায় তিনি সিআইডি অফিসে যাবেন।
তদন্ত কর্মকর্তা সকাল ১০টায় মালিবাগে সিআইডি অফিসে হাজির হতে অনুরোধ করেছেন চিঠিতে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যারিস্টার রাজ্জাককে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি। ’ তিনি বলেন, আদালত অবমাননা থেকে বাঁচার জন্য পুলিশ তাঁকে বিডিআর হত্যাকান্ডে জড়াতে চায়, এই বক্তব্য সঠিক নয়।
সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ১৯ মার্চ বিমানবন্দরে জামায়াত নেতা আবদুর রাজ্জাককে বিদেশে যেতে বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাধা উপেক্ষা করে তিনি ও তাঁর স্ত্রী জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকতে চান।
এ কারণে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়।
আদালত প্রতিবেদক জানান, পিলখানার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিডিআর জওয়ানসহ ছয়জনকে রিমান্ডে নিয়েছে সিআইডি। গতকাল হাজারীবাগ এলাকার থেকে গ্রেপ্তার করা সিরাজ ওরফে কালু, কামাল হোসেন, মামুন হোসেন এবং বিডিআরের জওয়ান মঞ্জুর আলমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায় সিআইডি। মহানগর হাকিম তোফায়েল আহমেদ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত সুত্রে জানা যায়, হাজারীবাগ এলাকায় মিছিল মিটিং, বিডিআর বিদ্রোহের সময় মাইকিং করে সেনা কর্মকর্তা হত্যায় সহযোগিতা করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গতকাল এই তিনজনকে লালবাগ থানায় দায়ের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় সিআইডি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।