এখন জৈষ্ট মাস। ফলের সমাহার। তাই কাচা আম কিনলাম আর স্টকে পাকা তেতুল ছিল। প্রথমে কাচা আম একটা ঝাঝরি দিয়ে কুচি কুচি করে । শিল পাটায় সরিষা,মরিচ এবং রসুন বাটলাম আলাদা করে।
তারপর একটু লবন দিয়ে আমটা মাখিয়ে বাটা মশলা মেশালাম ভাল করে। আঙ্গুলের মাথায় একটু হলুদ নিলাম এবং মাখালাম। কিছু জিনিস কারো সাথে শেয়ার করিনা,এটা তার একটা। স্পষ্ট মনে পড়ছে ,এভাবে বরই মাখানোর পর অন্যরা যাতে খেতে না পারে সে জন্যে একটু থুথু ছিটিয়ে দিলাম। আমার থুথু আমার খেতে সমস্যা নেই কিন্তু অন্যের আছে।
মানে কবটাই নিরাপদ। তবে একবার একজন দোস্ত পুরোটাই ফেলে দিয়েছিল। তখন আমার কি যে কষ্ট লাগল !!! তবে প্রতিশোধ নিয়েছিলাম।
কাজের কথায় আসি। আম মাখানো শেষ করে খাওয়ার পর আম সিদ্ধ করলাম।
মূলত এভাবে আমি আচার বানাইনা। কিন্তু শরিষার তেলের পরিমান কম ছিল বলে এই পদ্ধতি। সিদ্ধ আম থেকে পানি ঝরিয়ে কড়াইতে তেল দিলাম। কয়েকটি রসুন ভেজে নিলাম এবং আম ছেড়ে দিলাম। ঘুটিয়ে মিহি করলাম।
পাচ ফোড়ন আগেই ভেজে নিয়ে গুড়া করেছি ৪০ গ্রাম। এবার সেটা দিলাম। লবন দিলাম। ঘুটতে থাকলাম। এবার বেশ কিছু তেতুল দিলাম।
একটুও চিনি দিলাম না, কারন অরিজিনাল টক হতে হবে। নইলে আমার চলবে না।
কাল থেকে ওটা বেশ কয়েক দিন চলবে। পেটের জন্যে দোয়া করেন। অবশ্য আমি লোহা খেয়ে হজম করা লোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।