আমি এই আমাকে খুঁজে ফিরি সবার মাঝে………………….. তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত প্রকৃত মুসলমান হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাকেই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য ভালো মনে করে। আল-হাদিস
বর্তমান পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে পাশ্চাত্য সংষ্কৃতির বাধভাঙ্গা জোয়ার,পায়ের জুতা থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্য়ন্ত সবকিছুতেই পাশ্চাত্য সংষ্কৃতির অন্ধ অনুকরনের ছোয়া। satellite এর কল্যানে(!)উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণী গোগ্রাসে এসব modern(?)সংষ্কৃতি গলধঃকরন করছে। মুসলমান হিসাবে, বাংলাদেশী হিসাবে আমাদের দায়িত্ব ছিল আমাদের সংষ্কৃতিকে লালন করা, কিন্তু কেন আমরা তা করতে পারছি না?আমরা জানি scientific দৃষ্টিকোণ থেকে ইসলামী সংষ্কৃতি পাশ্চাত্য সংষ্কৃতির তুলনায় অনেকটা গ্রহনযোগ্য(যেমন, দাড়ি রাখা)। এর পরও কেন আমারা(বিশেষত যুব সমাজ)এই সংষ্কৃতি গ্রহন করছে না বা পারছে না?
শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পুরোপুরি পাশ্চাত্য সমাজের দখলে চলে যায়।
কৃষি ভিত্তিক মুসলিম সমাজ সভ্যতার উপর থেকে তাদের কতৃত্ব পুরোপুরি হারিয়ে ফেলে,উপরন্তু তাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিমুখতার সুযোগ ইউরোপ শতভাগ ব্যবহার করে। বস্তুত মুসলমান সমাজের মাত্রারিক্ত ভোগ বিলাস,ধর্মীয় গোড়ামি,বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি মুসলিম সংষ্কৃতির পতনকে তরান্বিত করে। খ্রিষ্টীয় ১৪০০ সাল পর্যন্ত মুসলমান প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল বিশ্বসভ্যতায়। উদাহরণস্বরুপ ভারতীয় উপমহাদেশে সুদীর্ঘকাল মুসলমানরা দাপটের সাথে শাসন করেছে তখন উপমহাদেশের সর্বত্র মুসলিম সংষ্কৃতি প্রচলিত ছিল। অতঃপর ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশদের কাছে স্বাধীনতার সূর্য নিভে যাওয়ার পর বিজাতীয় সংষ্কৃতির গণজোয়ারে ভাসতে থাকে গোটা উপমহাদেশ।
মুলত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যানে পাশ্চাত্য সমাজ তাদের সংষ্কৃতি (নাকি অপসংষ্কৃতি?) খুব সহজ়ে আমাদের মুলে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছে।
আমি অনেককে দেখেছি যারা অন্ধভাবে অনুকরন করে আইনষ্টাইনকে। আজ যদি মুসলিম বিশ্ব একজন মুসলিম আইনষ্টাইনকে জন্ম দিতে পারত তবে তাকে কি মুসলিম যুবসমাজ অনুসরন করত না?অবশ্যই করত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।