মুতাসিমের ফালতু ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! দুনিয়ার সব ফালতু ফালতু লেখা গুলা পাবেন এখানে।
দুনিয়তে কোন বাচ্চারই পড়াশুনা, পড়াশুনার কথা তেমন ভালো লাগে না। আগে আমি মনে করতাম আমি একাই এই কথাটা বিশ্বাস করি। কিছুদিন আগে জাফর ইকবালের “তোমাদের প্রশ্ন, আমার উত্তর” বইটা থেকে জানতে পারলাম উনি ও এটা ভাবেন। তবে রবীন্দ্রনাথ তো চামে চামে আনন্দের সাথে পড়াশুনা করে ফেলসে, আমরা? বিদেশি স্কুলের কিছু সেকেন্ড হ্যান্ড বই আছে আমার কাছে।
দেখলাম ওদের ক্লাস ১১ এর বই ও কালার প্রিন্ট হয়। মানে বইটাকে শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষনী করার চেষ্টার অন্ত নাই তাদের। আবার অন্যদিকে আমার কিছু বন্ধুর কথা বার্তা এই রকম, আমাদের বইয়ের কর্নফুলী কাগজের গন্ধটা নাকি তার কাছে ভালো লাগে না। আমি বিষয়টা খেয়াল করলাম আর কি... জাফর ইকবালের বই পড়তে আমার কিন্তু খুবই মজা লাগে। কারন কি? ঐটার সুন্দর একটা মলাট থাকে, ঐটা সুন্দর কাগযে প্রিন্ট করা হয় এই জন্য? মনে হয় না।
আচ্ছা জাফর ইকবাল কেন আমাদের স্কুলের পাঠ্যপুস্তক গুলা লিখে না? লিখে ?
যাই হোক, আসল কথা বলি। যেহেতু আমাদের বই গুলো আমাদের আকর্ষণ করে না (যে কারনেই হোক, আমি জানি না ঠিক), তাই আমি নিজেই পড়াকে উপভোগ করা জন্য কিছু কাজ করি। অনেকটা প্লেগ্রুপের বাচ্চাদের মত (প্লে গ্রুপে থাকতে কিন্ত আমার স্কুলে যেতে দারুন মজা লাগতো)। আমার একটা ডাউষ সাইজের প্যাড আছে, প্যাডের প্রথম পাতায় আমার কাছে কিছু বন্ধুদের নাম, আর তাদের দেয়া কিছু হাস্যকর, সরনীয় বানী, কিছু ছোট ছোট ছবি আছে (যেগুলো দেখলে আমার মন খুব ভালো হয়)। তারপরের পাতায় আমার লিখা কবিতা আছে একটা।
তারপরের পাতার উপরে লিখা আছে, “পাগলা পদার্থ”। ক্লাস নাইনে ঊঠেই আমি এই পদ্ধতি আমাদের উপর প্রয়োগ করলাম তো। তো ঐখানে আমাদের “গতি” চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ন, মনে রাখা কঠিন, মজার ইত্যাদি বিষয় লিখেছিলাম। এই রকম করে তারপরের পাতায় নানা, রকম সাহিত্য কর্ম, বন্ধুদের বানী, হাসির কথা, গান, ফেইসবুক নোট, নগর বালকের মজার নিক, স্যারদের বিকৃত নাম (শুনলে হাসি পায়) আমার জীবনের সরনীয় কিছু দিন, মজার ঘটনা দিয়ে ভর্তি। আবার মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপনের মত বইয়ের পড়া, অংক ইত্যাদি।
এখন অভ্যাস হয়ে গেসে এই কাজটা করা। এবং আমার কাছে খুবই মজা লাগে ব্যাপারটা। কোন কিছু ভালো না লাগলে আমি বসে বসে ঐটাই পড়ি। এই পর্যন্ত ৫০ - ৬০ বার তো পড়া হইসেই। পরে কালকে দেখলাম বইয়ের যে পড়াগুলা লিখছিলাম ঐখানে, ঐ পড়া গুলা অনেকের কাছে কঠিন লাগে,আমার কাছে ও লাগতো, হঠাৎ করে পরীক্ষার সময় দেখলাম লাগে না
তার মানে আমার থিওরি কাজে লাগসে।
আগে আমি বই এর মধ্যেই অনেক কার্টুন আকতাম, নেক কিছু লিখে রাখতাম। এখন কম লিখি অবশ্যে। আমার আগের স্কুলের বন্ধুগুলার স্কুলের বই ছাড়া অন্য সব বই পড়তে দারুন লাগতো। এবং ওদের নলেজ আমাকে অনেক সময় “থ” করতো। হয়তো ওদের সাথে থাকাতেই আমি লিখতে পারি এখন সামান্য
যাই হোক আমার এই থিওরি কারো অনুসরণ করার দরকার নাই।
পরে ফেল করে আমার দোষ দিবে। আমি জানি আমার বন্ধুরা আমার চেয়ে অনেক ভালো বুঝে, জানে। আমি হইলার এক্সট্রিমলী গাধা।
(সর্বশেষ নিজের থেকে কোন পোস্ট লিখসিলাম ২১ শে নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৪২ )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।