খাদ্যখাবার
দিঘিতে হাঁস শামুকদানা খোঁজে
শরীর ভাসে… নাখমুখঠোঁট জলে
দিঘিতে হাঁস ঝিনুকদানা খোঁজে…
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
প্রয়োজনীয় খাদ্য মনে করে
তোমার বুকে কী খুঁজেছি কাল
শামুক? ঝিনুক? মাতৃশিশুকাল?
তোমার বুকে কী পেয়েছি কাল–
পুরো শৈশব, হুলো বাল্যকাল?
মৃগয়াকে ব্যাঘ্র… বনস্থলে
নিজের জন্য খাদ্য কনফার্ম করে
কাল কি ছিল অতিরিক্তকাল?
তোমার বুকের তিলটি ছিল তাল… !
এমন কি তিল কৃষ্ণ নহে, লাল?
কালকে আকাশপাতাল ছিল কাল… !
কালকে আমি বনস্থলে ছিলাম
প্রমাণ ছিল, ব্যাঘ্র আমার নাম
তোমার বুকের মাংশ ছিল, কাঁচা
তাই খেয়েই তো আজ পর্যন্ত বাঁচা–
কাল পর্যন্ত বাঁচতে যদি চাই
ব্যাঘ্র আমি, কাঁচামাংশই চাই
বকের চোখে পুঁটির ছবি আঁকা
পুঁটির চোখেও কেঁচো আঁকা ছিল
তোমাকে খেয়ে আমার বেঁচে থাকা
না খেয়ে কারও বেঁচে থাকা ছিল?
২৩/২/২০০৯
তরুণ কবি
যদি… মাত্র… তবে
হবে কি হবে না হবে?
নদী মাত্রই জল
উতলা ধরণী তল…
নারী মাত্রই, ঠারে-
ভাব, আকারে-বাকারে
ইথারে চিরকালের কথা
ঘুরিছে নিয়মমাফিক, প্রথা
প্রেম?
প্রথার মধ্যেই পড়ে
ধাক্কা তুমুল ঝড়ের…
ঝড় মাত্রই থামে
আকাশ দূরে নামে–
মাঠকে আড়াআড়ি
তরুণ কবির বাড়ি… (তার)
ফেরার টাইম কই?
ছাপা হচ্ছে বই…
ছাপা হচ্ছে জ্বালা
অগ্নি-কর্মশালা
ছাপা হচ্ছে দুঃখ
(আত্মপ্রকাশ মুখ্য)
ছাপা হচ্ছে দ্রোহ
অনন্ত নীল গ্রহ
নীল গ্রহেই থাকে
তরুণ কবি যাকে
নিজের ছবি আঁকে
যার ভেতরে আঁকে
তার ভেতরে আঁকে
শরীর মনের বাঁকে
শরীর হয়েই থাকে
মন যে শরীর আঁকে…
আঁকা লেখার ছবি
খা খা একার ছবি
দগ্ধ দেখার ছবি
মুগ্ধ থাকার ছবি
দুক্কুরেও ভৈরবি… (হায়)
তিন রাস্তার মোড়ে
ঘুর্ণি হাওয়া ওড়ে
নেশাও আসে নেশার
মহাজাগতিক পেশা–
দাঁড়িয়ে থাকে দাহে
রুক্ষ তরুণ কবি
বৃক্ষ তরুণ কবি
সূর্য তরুণ কবি
দগ্ধ তরুণ কবি
কী চায় তরুণ কবি?
৬/৩/২০০৯
বসন্তরজনীতে বসিয়া রচিত কবিতা
নিষ্প্রয়োজনে
আমি
ছোট্ট নাম লেখাতে গেছি
কবির খাতায়
নিজ প্রয়োজনে
আমি
নক্ষত্রের দেনা
নিয়েছি মাথায়
বিষ-প্রয়োজনে
আমি
সাপ ও বেদেনী
চেয়েছি দুটোয়
দুহাতে দুধের ছানা, বেপরোয়া মুঠোয় মুঠোয়
সম্পূর্ণ ফুটেও নারী, ক্লাসিক্যালি অস্ফূট…
So, আজ আমাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হলো–
আমি কি কবি ছিলাম? সাপুড়ে ছিলাম? নাকি ছিলাম যা, তাই?
শিস্ প্রয়োজনে
আমি
হাওয়া ধাক্কা দিচ্ছি
বসন্ত-জঙ্গলে গাছদেবতার
শুকনো পাতায়
কে আমি? বিখ্যাত কেউ? কী ছিলাম? গুরু কেউ? লঘু ঢেউ?
ঝরনার বাথরুমে শাওয়ার ছিলাম?
সুহাসিনীর ড্রেসিং টেবিলে আয়না ছিলাম?
গুপ্তকথা হচ্ছে, আদতে সেই রাক্ষসদের ছেলে, মানুষের ছদ্মবেশে থাকি
যোগ্যতা, নিজের মুখে জোসনারাত অনুবাদ করতে পারি, এর বাইরে
আমি যা ছিলাম, তাই…
ছিলাম যা, তাই…
৫/৩/২০০৯
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।