ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সে ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা ছবি ‘জুরাসিক পার্ক’-এর থ্রিডি ভার্সন। বহুল আলোচিত ‘জুরাসিক পার্ক’ সিরিজের সর্বশেষ ছবিটি প্রায় এক যুগ আগে দেখেছিল দর্শক।
৬৫ মিলিয়ন বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অতিপ্রাকৃত ডাইনোসর ও তাদের ভয়াবহতা নিয়ে ১৯৯৩ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ নির্মাণ করেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি-নির্ভর ছবি ‘জুরাসিক পার্ক’। অস্কারের ৬৬তম আসরে চারটি শাখায় পুরস্কার পায় এ ছবি। ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও ‘জুরাসিক পার্ক’-এর আবেদন কমেনি এখনো।
দুই দশক পূর্তিতে ১০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়েছে এ বছর। এবারও বাজিমাত। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেয় ছবিটি। অসাধারণ ভিজুয়াল ইফেক্টস ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘জুরাসিক পার্ক’ বিশ্ব চলচ্চিত্রে একটি মাইলফলক হয়ে আছে। কম্পিউটারের মাধ্যমে কৃত্রিম চিত্র প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ছবিটি এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
স্টিভেন স্পিলবার্গ ‘জুরাসিক পার্ক’-এর ভাবনা পেয়েছিলেন মাইকেল ক্রিচটনের একই নামের উপন্যাস থেকে। ১৯৯৩ সালে এ সিরিজের প্রথম ছবি মুক্তি পায়। ক্লোন পদ্ধতিতে তৈরি করা ডাইনোসরের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা আইলা নুবলার দ্বীপে একটি বিনোদন পার্ক গড়ে তোলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পূর্বে জন হ্যামন্ড কয়েকজন বিজ্ঞানীকে পার্ক পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তাঁরা দ্বীপে এসে ডাইনোসর দেখে বিস্মিত হন।
কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে কিছু ডাইনোসর বিদ্যুেবষ্টিত খাঁচা ভেদ করে বাইরে চলে যায়। বিজ্ঞানীরা ডাইনোসরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দ্বীপ থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ রকম গল্প নিয়েই জুরাসিক পার্কের কাহিনি গড়ে উঠেছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।