যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ার পর কারাগারে এতদিন পাওয়া সুযোগ-সুবিধা হারিয়েছেন আব্দুল কাদের মোল্লা।
আর সাধারণ কয়েদির পোশাক পরানোর পর জামায়াতে ইসলামীর এই নেতাকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন কাশিমপুরের কারাধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র ঘোষ।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে গত মঙ্গলবার কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়, যদিও এই সাজা লঘু দাবি করে ফাঁসির রায়ের দাবিতে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে।
মঙ্গলবার রায়ের পর কাদের মোল্লাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আনা হয় গাজীপুরের কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-২তে।
একাত্তরে ‘মিরপুরের কসাই’ নামে পরিচিত কাদের মোল্লা বিচার চলাকালে কাশিমপুর কারাগারেই ছিলেন। রায়ের আগের দিন সোমবার তাকে ঢাকায় নেয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-২ এর কারাধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের অযোগ্য অপরাধে সাজা হওয়ায় কারা হাজতি কাদের মোল্লার আগের ডিভিশন বন্দির সব সুযোগ রহিত করা হয়েছে।
“দুপুর দেড়টার দিকে তাকে সাধারণ কয়েদির মর্যাদা ও পোশাকে কারাগারের সাধারণ সেলে পাঠানো হয়েছে। এখান তিনি সাধারণ কয়েদির মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
”
সাধারণ কয়েদির সেলে জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে ‘বেশ বিমর্ষ’ দেখা গেছে বলে কারা কর্মকর্তা জানান।
কাদের মোল্লা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০১০ সালের ১৯ জুলাই তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার পাঠানো হয়। ২০১১ সালের ২৪ জুন তাকে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২তে স্থানান্তর করা হয়।
সূত্র: ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।