সেনাকুঞ্জে গত ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীর প্রধানসহ উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মত বিনিময় সভা করেছিলেন। সভার কোন বক্তব্য সংবাদ চিত্র হিসাবে পরিবেশন করা হয়নি। কেবল একটি স্থির চিত্র বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ও সংবাদপত্রে প্রদর্শন করা হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিল সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রি কি বলেছেন? সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। না পাওয়াটাই স্বাভাবিক, কারন এসব বিষয়ে মিডিয়াকে পাশ কাটানো রীতি নীতিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু মিডিয়া যেমন অনেক প্রশ্ন তুলেছে, তেমনি জনগনও নিজের স্বস্থির জন্য অবোধ মনকে শান্তনা দিয়েছে দেশের ক্রান্তিকাল বিবেচনা করে। তারপরও গনেশ পুরো উল্টে দিয়েছে পরিস্থিতিকে, ইন্টারনেটে সেনাকুঞ্জের বক্তব্যের অডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। পৃথিবীব্যাপি মানুষের এখন আর জানার বাকি নাই সেনাকুঞ্জের আলোচনাটি। প্রশ্ন হচ্ছে, যে বক্তব্যটি প্রচার করা হয়নি, বরং গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে ,মিডিয়ার লোকজনকে কেবল একটি ছবি তুলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে,পুরো সংবাদটি পরিবেশিত হয়েছে অনুমান নির্ভরভাবে সেই সেনাকুঞ্জের অডিও ইন্টারনেটে প্রচারের সুযোগ পেল কিভাবে? সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রি ছাড়া কৃষি মন্ত্রি উপস্থিত ছিলেন। অভিজ্ঞ মহল অডিও শুনে মনে করে, সেনা কর্মকর্তাদের দাবি দাওয়া মন্ত্রিরা কেউ পাচার করার কথা নয়।

তাহলে নিশ্চয়ই কোন না কোন সেনা কর্মকর্তা এই বেআইনী কাজটি করেছে। তাহলে আস্থা রাখার জায়গা আর থাকবে কোথায়? সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে কিন্তু এই অডিও নিয়ে যে ঘটনাটি আঁচ করা যায় তাতে এই সংস্থাটির উপর জনগনের সহমর্মিতাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে হয়তো। সবচেয়ে বড় কথা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যেসব দাবি উঠানো হয়েছে তা বিশ্লেষন করলে আমাদের রাষ্ট্রকে একরকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা হয় বৈকি?
।