দাগ খতিয়ান নাইতো আমার/ঘুরি আতাইর পাতাইর...
ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিখোঁজ সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগর এলাকার বাসিন্দা লে. কর্নেল এলাহী মঞ্জুর চৌধুরী লিটনের লাশ অবশেষে খুজে পাওয়া গেছে। পিলখানার ভেতর থেকে মাটি খুড়ে অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রকার পরিবারসহ সুনামগঞ্জ শহরের মানুষজন উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় ছিলেন বিনয়ী ও সুদর্শন এই চৌকস সেনা কর্মকর্তার জন্য। সবাই আশাবাদী ছিলেন তিনি নিরাপদে আছেন এবং তাদের মাঝে আবার ফিরে আসবেন। আজ শহরের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাঁর জন্য বিশেষ প্রার্থনায় মিলিত হয়ে তার ফিরে আসার জন্য কেদেছিল সবাই।
স্বজনরা আশা করছিলেন তিনি অন্যদের মতো জীবিত আছেন। কিন্তু অবশেষে তার লাশ গণকবর থেকে উদ্ধার হওয়ায় তার পরিবারসহ উদ্বিঘ্ন শহরবাসী বেদনায় মুষড়ে পড়েছেন। শোকে মুহ্যমান স্বজনরা।
কর্নেল এলাহী মঞ্জুর চৌধুরীর বড় ভাই সুনামগঞ্জ বারের সনিয়ির আইনজীবি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী জানান, বুধবার সকাল পৌনে দশটার দিকে গোলাগুলি শুরু হওয়ার পরই কর্নেল এলাহী মঞ্জুর তার স্ত্রী তান্নি মঞ্জুর চৌধূরীকে ফোন করে জানান, ''তারা বিপদে আছেন। তিনিসহ চার সেনা কর্মকর্তা একটি বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছেন।
তান্নি যেন ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরে দরজা-জানালা বন্ধ কের সাবধানে থাকেন। এরপর কর্নেল এলাহী মঞ্জুরের মোবাইলে বারবার চেষ্ঠা করেও আর কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। '' তারপর লাশ উদ্ধার হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে জিম্মিদশা থেকে তিন ছেলে মেয়েসহ মুক্তি পান কর্নেল এলাহীর স্ত্রী তান্নি চৌধুরী। তাদের রড় মেয়ে তারাহ ঝুমানা মঞ্জুর এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
অন্য দুই সন্তান মেয়ে ফারাহ মঞ্জুর ও ছেলে ফাইয়াজ মঞ্জুর। মুক্তি পাওয়ার পর ঢাকায় তান্নি চৌধুরী ছেলে মেয়ে নিয়ে তার বড় বোনের বাসায় আছেন। বাবার লাশ শনাক্ত হওয়ার পর ক. এলাহীর সন্তানদের কান্নায় ভারী হয়ে যাচ্ছে আকাশ। বাকহারা স্ত্রী বুক চাপড়ে মূর্ছা যাচ্ছেন বারবার। স্বজনদের অবস্থা আরো করুণ।
কর্নেল এলাহী মঞ্জুরের খবর জানতে গত দুইদিন শহরের হাসননগর এলাকায় তার বাসায় ছুটে যান শহরের বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন। কর্নেল এলাহী মঞ্জুর অত্যন্ত মেধাধী ও সৎ ছিলেন। তার লাশ পাওয়ার খবরে শোকমুহ্যমান এখন শহরবাসী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।