প্রথমেই আমি তাকে যাদু করতাম
আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিকুল আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে 'না' ভোট বাতিল করার কথা বলেছেন । তিনি বলেছেন সংসদে এটি বাতিল করার জন্য বিল আসছে । এনটিভির খবরে এটি প্রচারিত হয়েছে । তার কারণ বলেছেন যে আমরা ব্রিটিশ পদ্ধতির গণতান্ত্রিক যে ব্যবস্হা অনুসরণ করি তাতে না ভোটের কোন সুযোগ নেই । তার দ্বিতীয় যুক্তি হল, যারা কেন্দ্রে যাবেন তারা ভোট দেবেন কোন না কোন প্রার্থী কে ।
ভোট না দিতে চাইলে ভোট কেন্দ্রে যাবার দরকার নাই ।
উল্লেখ্য ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনে 'না' ভোট এর প্রবর্তন করা হয় । এর পক্ষে বিপক্ষে পত্রিকা এবং ব্লগে ব্যাপক লেখা লেখি হয় । আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি 'না' ভোট থাকতে পারে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটির কিছুটা যৌক্তিকতা আছে । কোথাও ধরা যাক রাজনৈতিক দলের ৩ জন প্রার্থীর প্রত্যেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অথবা চরম দুর্নীতিবাজ ।
এ ক্ষেত্রে এদের জনগণ প্রত্যেক কে প্রত্যাখ্যান করার জন্য 'না' ভোট প্রয়োগ করতে পারে । বর্তমান দলগুলোর প্রতিটির বিরুদ্ধে কম বেশি নির্বাচন বাণিজ্যের অভিযোগ আছে । এখন ধরে নেয়াই হয় যারা প্রার্থী তাদের একজন বিজয়ী হবেই । 'না' ভোটের মাধ্যমে কিছু অযোগ্য প্রার্থীর প্রত্যাখ্যানের দৃষ্টান্ত থাকলে দল গুলো ভাল প্রার্থী দিতে চিন্তা করবে শুরু থেকেই । গত নির্বাচন প্রায় পৌনে ৪ লক্ষ না ভোট আমার কাছে অযোগ্য বা অসত্ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নিরব প্রতিবাদ বলে মনে হয়েছ ।
অন্য দিকে এটিও সত্যি গণতন্ত্র নিজেই "মন্দের ভাল" একটি পদ্ধতি । তুলনামুলক ভাবে যোগ্যতর প্রার্থীকে বিজয়ী না করে বার বার 'না' ভোটের বিজয় আমাদেরকে বরং আরও পিছিয়ে দিতে পারে ।
'না' ভোট নিয়ে উল্লেখযোগ্য সাইট বা ব্লগ হল:
http://na-vote.org/
http://www.sachalayatan.com/faruk_wasif/20607
http://prothom-aloblog.com/users/base/raha/12
Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।