নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’খ্যাত প্রসিদ্ধ লোকসংগীতশিল্পী আবদুর রহমান বয়াতি। বর্তমানে তিনি রাজধানীর জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালটির চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা।
অনেক দিন থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন ৭৪ বছর বয়সী বর্ষীয়ান এ শিল্পী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ এপ্রিল রোববার জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
সেখানে নিউরোলজিস্ট উত্তম কুমার সাহার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর আগেও একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন আবদুর রহমান বয়াতি।
আবদুর রহমান বয়াতির বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে চিকিৎসক উত্তম কুমার সাহা বলেন, ‘আমার তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হলেও নিউমোনিয়া ধরা পড়ার পর এখন সেই দায়িত্ব নিয়েছেন ডাক্তার রওশন আরা। পাশাপাশি আমিও যুক্ত আছি তাঁর চিকিৎসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে। কবে তিনি হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি পাবেন সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সতর্কতার সঙ্গে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। ’
১৯৩৯ সালে ঢাকার সূত্রাপুর থানার দয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রহমান বয়াতি। অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগান উপহার দিয়েছেন এই বাউলশিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। একক গানের বহু সংখ্যক অ্যালবামের পাশাপাশি তিনটি মিশ্র অ্যালবামেও গেয়েছেন তিনি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘মন আমার দেহ ঘড়ি’, ‘মরণেরই কথা কেন স্মরণ’, ‘মা আমেনার কোলে ফুটল ফুল’, ‘দিন গেলে আর দিন পাবি না’, ‘ঘুড্ডি হয় তিনতলা’, ‘হাতের মাঝে ভাঙল হাঁড়ি’, ‘পিরিতে কইরাছে কাঙালি’, ‘একদিন চিঠি দিয়ে’, ‘আমার মাটির ঘরে’, ‘এত সুন্দর রঙমহল ঘর’, ‘আমি মরলে কেন’ ইত্যাদি।
মাটি ও মানুষকে উপজীব্য করেই বেশির ভাগ গান বেঁধেছেন আবদুর রহমান বয়াতি। স্বকীয় গায়কি ঢংয়ের মাধ্যমে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও অগণিত শ্রোতাকে মাতিয়েছেন গুণী এ শিল্পী। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়রের আমন্ত্রণে একবার হোয়াইট হাউসে আয়োজিত জাঁকালো এক অনুষ্ঠানেও গান গেয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন তিনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।