আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩।

উপরে যা লিখছি, এটাই শিরোনাম। আপাতত আর কিছু বলার নাই! ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩। দিনটা খুব বেশিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে আমার কাছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি দিনের সাক্ষী হয়ে থাকলাম; এই ইতিহাসের ক্ষানিকটা অংশ হলাম আমিও। আজ আমার পাশেই বসে থাকা ৭৯ বছর বয়সী বৃদ্ধা, যিনি কিনা আমাদের স্লোগান দেয়া দেখে খুশি হয়ে কিছু বাদাম কিনে দিলেন আমাদেরকে; উনার চোখে ৭১ এ দেখলাম নিজেকে।

কিংবা পিছেই দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন বৃদ্ধ, যারা ৭১ এ যুদ্ধ করেছেন এই দেশটার জন্য; তারাও আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। আবেগে না চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি! লাকি আক্তার নামের ছোট করে মেয়েটি, যে মনে করিয়ে দিয়েছে বিদ্রোহী প্রীতিলতার কথা। জাফর ইকবাল স্যারের বক্তৃতা, নিজের একটু হলেও মূল্য দিতে শেখালো নিজেকে। সুদূর মাদারীপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে আজকের শাহবাগ স্কয়ারে এসে তরুনদের সাথে এই যুদ্ধে একাত্বতা ঘোষনা করা মুক্তিযোদ্ধা চাচা আমার ভিতরের মনোবলটা কে বাড়িয়ে দিল অনেক বেশি। কিংবা সামনেই মাথায় পতাকা বাঁধা, বুকে 'রাজাকারের ফাঁসি চাই' লেখা ছোট্ট বাচ্চা ছেলেটির শরীর দুলিয়ে দুলিয়ে বাহু ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে দেয়া স্লোগান এর দৃশ্য আমাকে করেছে আজ আরও কয়েক হাজার গুন বেশি সাহসী।

আশে-পাশে সামনে-পিছে একসাথে গর্জে ওঠা অচেনা মানুষগুলো মনে করিয়ে দিল - আমরা বাঙালি, পৃথিবীর বুকে ভাতৃত্ববোধের সবচেয়ে বড় নজির আমরাই স্থাপন করে আসছি সেই ৪৭ এর অনেক আগে থেকেই। 'তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমূনা' স্লোগানে স্লোগানে যখন মূখোরিত পুরো শাহবাগ চত্তর তখন আরও একবার নিজের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব কে অনুভব করলাম। জানেন? মিছিলের মশাল গুলো দেখতে একদম নতুন তাজা টগবগে সূর্যের মতো লাগছিলো! শরীরের পশম গুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো, তীরের মতো। রাতে যখন বাসায় ফিরছি, তখন আমার মা আমাকে ফোন করে বললো - "সারাদিন টিভি খুলে বসে ছিলাম, মহাসমাবেশের পুরোটা দেখলাম। একবার দেখলাম মনে হলো তোকে।

সূজন কে দেখলাম দু'তিন বার (সূজন, যাকে হয়তো আগামীকালের দু'একটি পত্রিকায় দেখা যাবে নিজেকে উজাড় করে স্লোগান দিতে। ওর গলা দিয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কথা বের হচ্ছিলো না। )। স্টেজের সামনে থাকতে পারিস নি? আন্দোলন যখন করছিস, তখন করার মতো করে করবি। সবটুকু উজাড় করে দিয়ে কর।

দাবি আদায় করে নে। " অথচ, আজ সকালেও আমার মা আমাকে যেতে দিতে চাই নি। যদি তার একমাত্র সন্তানের কিছু হয়, এই ভয়ে। আর দিন শেষে সেই মা ই যখন একথা গুলি বললো তখন আর কিসের পিছুটান? আন্দোলন যখন শুরু হয়েছে, সফল আমরা হবোই ইনশাআল্লাহ। আমাদের দাবি আদায় হবেই।

পারলে বেজন্মা পাকি-জারজ রাজাকারের বাচ্চারা ঠ্যাকাইস! জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।