আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয়াকে যেভাবে উদ্ধার করলাম!

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

ফটোগ্যালারীতে ছিল। শেষ খবর কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মতামতের ভিত্তিতে। ছবিমেলার একটা গ্যালারীতে দীর্ঘক্ষণ তাকে একটা পোট্রেটের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কয়েকজন অটোগ্রাফ শিকারীও তাদের নোটখাতা দেখালেন, যেখানে জয়ার কাচা অটোগ্রাফ। তাদের মধ্যে ছিল জয়ন্তী, লেবেল নাইনের।

সে বললো, আমি তাকে দেখলাম জয়বিন্দু ঘোষালের ছবির সামনে দাড়িয়ে থাকতে। গ্যালারীর কর্মকর্তা হুমায়ুন গায়েনও বললেন এমন কথা। গ্যালারীতে দীর্ঘক্ষণ ছিল জয়া। জয়বিন্দু ঘোষালের ছবিটার সামনে দাড়িয়ে ছিল। কিন্তু সে কিছুতেই মনে করতে পারলো না জয়াকে বের হতে দেখেছে কিনা।

জয়বিন্দুর পোট্রেট "বিহাইন্ড দ্যা ক্যানভাস" এ চমৎকার এক নারীমূর্তির জন্য খালি স্পেস রাখা আছে। ছবির মূল স্বরটি কিঞ্চিত প্রহেলিকাময়। তিনি দেখাতে চেয়েছেন ছবির নারীমুখটির জন্য অপেক্ষায় ক্যানভাস। সেখানে ছাপ পড়ে আছে এক আগন্তুকের, শিল্পী জানেন না, কে তার ক্যানভাসের মুখ। শেষ বিকেলে ছবিটি বিক্রি হয়ে যায়।

আমিই কিনেছিলাম। গ্যালারীর লোকজন দারুন মোড়কে ছবিটিকে বাক্সবন্দী করে দেয়। এইমাত্র ছবিটা টাঙালাম দেয়ালে। বসার ঘরের ওই দেয়ালটার কিছু অংশের চলটে উঠে গেছে। মোড়ক খুলে সেখানে ঝুলিয়ে দিলাম।

এরপরে ছবির দিকে চোখ খুলতেই হতভম্ব। পোট্রেটের শূণ্য আসনে জয়া বসে আছে। আমাকে অবাক করে দিয়ে ছবি থেকে নেমে এলো। ভোজবাজির মত লাগছে। জয়া বললো, বাহবা! ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেছে, এতক্ষণ কেউ একভাবে বসে থাকতে পারে?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।