মহলদার
ফূল ফুটুক আর না ই ফুটুক, দু' দিন বাদেই বসন্ত। বসন্ত আসছে, ফুল ও ফুটেছে। তবে কেন যেন ফুল এখন আর আগের মত ফোটেনা। ফুটবে কিভাবে, ফুলের গাছই তো নাই। ফুলের গাছ বলতে বোঝাচ্ছি সেই সব বড় বড় গাছ যে গুলো বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার ধারে আগে কিংবা মাঠের ধারে অনেক দেখা যেত- যেমন শিমুল, পলাশ, মান্দার ইত্যাদি।
এখন এসব গাছ আমাদের কাছে অনেকটা অপ্রয়োজনীয় গাছ। আগে এসব গাছ এমনি এমনিই হতো। এগুলো এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এই ধরনের গাছ লাগানোর কথা তো এখন আমরা ভাবতেই পারিনা। এর একটি লাগানোর চেয়ে বরং একটি মেহগনি কিংবা অন্য একটি হাইব্রীড ফলের গাছ লাগালেই বরং বেশী লাভ।
আর ফুল মানে তো টব কিংবা বাড়ির ছোট্ট বাগানে লাগানো বিদেশী কিছু ফুল। তাই বসন্ত আসলে এখন আমরা যেমন দেখতে পাইনা সেই শিমুল, পলাশ তেমনি শুনতে পাইনা পাখির কল-কাকলীও। অস্ত্বিতের সংকট তাদেরও। মুলতঃ এইসব দেশী গাছের কোটরে কিংবা সুউচ্চ ডালে, ঝোঁপঝাড়ে হতো এসব পাখির বাসা। এখন গাছই নেই, আর বাসা বানাবে কোথায়? এখন চোখে পড়েনা কিংবা খুবই কম দেখা মেলে সেই সুই চোরা, হলদে পাখি, কোকিল, বাবুই, দোয়েল, বুলবুলি, ফিঙ্গে ইত্যাদি আমাদের দেশীয় পাখি গুলো।
হয়ত বসন্ত নিয়ে কবি/সাহিত্যিকদের লেখা গুলো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে কেবল রূপকথা হয়ে যাবে একসময়।
শিরোনামে লিখলাম ছবি ব্লগ, অথচ বলা হয়ে গেল কত কথা। আজ পলাশ ফুলের গাছ দেখলাম, ফুলে ফুলে ভরা এমন পলাশের ডাল আগে কম দেখেছি। আপনাদের সাথেও শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না এবং সেই সাথে শেয়ার করলাম আরো কিছু ছবি যে গুলো আজ তুললাম।
ফাগুনে নাকি শিমুল পলাশের বনে আগুন লাগত! আমি পলাশ ফুলের বন দূরে থাক পলাশ ফুলের গাছই দেখেছি হাতে গোনা কয়েকটা।
তাও আবার বিভিন্ন জেলায়। আমাদের দেশের কোথাও পলাশ বন আছে কিনা জানা নেই তবে হাওর অঞ্চলে কোথাও কোথাও চোখে পড়ে দু'একটা পলাশ ফুলের গাছ।
এই ফুলটির নাম জানিনা, তবে হাওর অঞ্চলে বেশ চোখে পড়ে ফুলটি।
শিমুল গাছে ঈগল পাখির বাসা
বাসার পাশেই বসে আছে মা পখিটা।
পটকা মাছের ছবিটা বিষয়বস্তুর সাথে একেবারেই অসংগতিপূর্ণ।
তবুও শেয়ার করলাম কারন ছবিটা দেখে আমি খুব মজা পেয়েছি এবং এটাও আজ তুলেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।