ডুবোজ্বর
১৯১২০৫-১
রক্তের গলিমধ্যে রাত্রি দুলে উঠে সবিষ
পাহাড় পথ ছেড়ে দাঁড়ায়
পঞ্চবটির লীলা বাতাসে দুলে অন্তহীন শূন্যতায়
ইদানীং নিভু নিভু অন্ধকারে অন্ধজন হেঁটে যায়
কলমিলতার চাবুক কাঁধে তার
ওই লতা পথ দেখায় গন্ধহীন পুষ্পের দেশ
তারপর সবশেষে এলোমেলো বসন্ত আসে
রামায়ণে আর লেখা হয় না নপুংসকের আখ্যান
-------------------------------------------------------------------
১৯১২০৫-২
সোনালি গন্ধের দেশ সমৃত্তিকা বেদনায় থরথর
তার আনন্দ কীসে ঘোষণা করে সবিশদ
পরস্পর স্পর্শের অধিকারে বাঁধে বাদামরাত্রির সাঁকো
নিচে তার টলটলে জল পাহারা দেয় ছায়া
ছায়াচ্ছিন্ন কথার বল্কল গাছে গাছে জড়িয়ে থাকে
নিবিড় অভিমান
অনেকদিন
অনেকদিন খড়গুলি কেনো জাগে সগন্ধ
---------------------------------------------------------------------------------
১৯১২০৫-৩
সূর্যের ছায়ারা নেমে আসে
নেমে আসে বাতাসের বুক চিরে
হাঁটতে হাঁটতে নিজের ছায়া দেখি
অন্যের সাথে মিলাই
মিলে না
পায়ে পায়ে খুন করি রোদের সড়ক
ডানকাঁধে দংশন করে হাওয়ার দঙ্গল
অস্পৃশ্য আমি
রাস্তা হতে খুলে নিই নিজের ছায়া
বারবার খুলি
তারপরও আটকে থাকে
সাথে সাথে হাঁটে
তরল রোদ নেমে আসে
ছায়াটাকে আঁকে
সবিনয়ে আমাকে উপহাস করে
----------------------------------------------------------------------
১৯১২০৫-৪
একদিন যদি বসন্ত আসে
আমি কারো পায়ে চলা পথ হবো
অন্তহীন বাতাস এসে কুড়িয়ে নেবে প্রিয়তম ধূলিকণা
আমি তার পায়ে ভেঙে দেবো নিঃসঙ্গদুপুর
সুদূরপুরের পথে প্রত্যহ বান ডাকে স্মৃতির অবাধ্য মাধুর্য
থেকে থেকে পড়ে থাকে মরা দুই শালিকপাখি
তারপরও একদিন যদি বসন্ত আসে
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।