কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না, ইহাতে উহারা কষ্ট পায়
আমাদের সেনাপ্রধান অত্যন্ত করিৎকর্মা লোক। সম্ভবতঃ লেঃজেঃহুঃমুঃ এরশাদের পরে তিনিই সবচেয়ে বেশী জনসম্মুখে উপস্থিত হয়েছেন, বক্তৃতা দিয়েছেন, উদ্বোধন করেছেন, নানা বিষয়ে তার জ্ঞানগর্ভ কথা মালা দেশের মানুষকে শুনিয়েছেন। পত্রিকায় পাতায় তার লেখা কৃষি বিষয়ক একটা প্রবন্ধও দেখেছিলাম। গতকাল তিনি তার নিজের লেখা একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবও (মোড়ক উম্মোচন) করেছেন।
তিনি বিগত দুই বছর আগে দেশে সেনা সমর্থিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রকারান্তরে তিনিই ছিলেন দেশের হর্তাকর্তা।
ভোটার লিষ্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র প্রকল্পে সেনাবাহিনীর সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করার সময় সাধারণ সৈনিক ও জুনিয়র অফিসারদের নিকট থেকে শোনা যায় তিনি বেশ কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে বিগত জোট সরকারের বিশেষ অনুকম্পায় সেনাপ্রধানের পদটি পেয়েছিলেন। এতে দেশের এই বাহিনীর চেইন অফ কমান্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল কিনা জানা নেই। তবে সেনাবাহিনীর মধ্যে বেশ হতাশা ও ক্ষোভ দেখতে পেয়েছি।
সাবেক স্বৈরাচার এরশাদ দেশের ক্ষমতা দখলের যে অপরাধে ধিকৃত হয়েছিলেন বর্তমান সেনাপ্রধান সে পথে যাননি। এতে সাধুবাদ পাওয়ার কথা।
তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার ঘোষণা দিয়েছেন, এবং সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন। দৃশ্যতঃ তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় সত্যিই তিনি যদি সিনিয়রদের ডিঙ্গিয়ে সেনাপ্রধানের পদটি পেয়ে থাকেন তবে তা কেমন হলো?
দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্পর্কে কোন বিরুপ মন্তব্য করা উচিত নয়। কিন্তু তারপরেও প্রশ্ন থেকে যায়। তিনি সত্যিকারের দুর্নীতি উচ্ছেদ করার জন্য দেশের সেনাবাহিনীকে কাজে লাগিয়েছিলেন কিনা।
ভোটার লিষ্ট করার জন্য সেনাবাহিনী সুনাম অর্জন করেছে নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করব দেশের সংকটজনক মুহুর্তে অতীতের মতো ভবিষ্যতেও সেনাবাহিনী এগিয়ে আসবে দেশ রক্ষার কাজে। ক্ষমতা দখলে উৎসাহী কখনও হবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।