বাঘটির ময়নাতদন্ত শেষে চামড়া তুলে পুতে ফেলা হয়েছে
আহত ৬ জনের অবস্থার অবনতি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বাঘডাঙ্গা গ্রামে পিটিয়ে মারা চিতা মাভটির ময়না তদন্ত শেষে বন বিভাগের নার্সারিতে পুতে ফেলা হয়েছে। তবে বাঘের চামড়াটি সংসক্ষনের জন্য রংপুস্থ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আহত হয়ে নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৮ জনের মধ্যে ৬জনের অবস্থা আরও অবনতি হলে শনিবার রাতে রংপুর হাসাপাতলে পাঠানো হয়েছে।
প্রকাশ, শনিবার সকালে ভারত থেকে সীমান্ত পারি দিয়ে আসা বাঘটিকে দেখতে পায় স্থানীয় জনগণ। পরে এক পর্যায়ে পিটিয়ে মারে।
এসময় আহত হয় ১৫জন। এদের মধ্যে ৮জনকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতে আহতদের মধ্যে রেজাউল (৩০), নুরুন্নবী বাচ্চু (৪০), আজিজার (৬৫), সিরাজুল ইসলাম (৫০), ইসরাইল (৩৫), মজিবুর (৪০) -এর অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসন উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মৃত বাঘটিকে উদ্ধার করে। শনিবার মধ্যরাতে ভেটেনারী সার্জন ডা. অমিতাভ বাঘটির ময়না তদন্ত করেন। তিনি জানান, ময়না তদন্ত শেষে বাঘটির কলিজা, লিভার, প্লিহা, হার্ট, কিডনী, ব্রেইন সংরক্ষনের জন্য রেখে দেয়া হয়েছে।
পরে বাঘটিকে কুড়িগ্রাম সহকারী বন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সহকারী বন কর্মকর্তা এনামুল হক ভূইয়া জানান, মৃত বাঘটির চামড়া তুলে নিয়ে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। চামড়াটি সংরক্ষনের জন্য রংপুরস্থ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।