'হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ; ডাউনলোড দিয়ে আকাশ নামাতে চাই'- শিরোনামে কদিন আগে একটা লেখা পোস্ট করেছিলাম। যে লেখার বর্ণে বর্ণে ছড়ানো ছিল শেখ হাসিনা সরকারের কাছে প্রত্যাশা। তারপর তার মন্ত্রীসভা দেখে আরো উচ্ছসিত ছিলাম। শেখ হাসিনাকে মনে হয়েছিল এক অন্য চেহারার কেউ। অন্য মানসিকতার।
যে মানসিকতাকে ডিজিটাল মানসিকতা বললেও ভুল বলা হবে না। কারণ তিনি তার মন্ত্রীসভা গঠনে মানবিক আবেগ তাড়িত হননি।
তার মন্ত্রীসভাতে তিনি রাখেননি তার ভাইকেও।
কান পেতেছিলাম বাতাসে। শুনতে চেয়ে দিনবদলের ডাক।
আশায় বেধেছিলাম বুক। স্বপ্নের নতুন ডিজিটাল, গনতান্ত্রিক বাংলাদেশে আকাশও ডাউনলোড দিয়ে নামিয়ে ফেলবার ইচ্ছে পোষন করেছিলাম।
ভাগ্য ভালো সে কাজে নামিনি। বুঝতে পারিনি আকাশতো দুরে মাটির ভাগ চাইলেও 'খবর আছে'।
আমাদের অধিকার কই?
এখনতো সবকিছু তাদের, যাদের আমরা ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছি।
যে খবর, উপজেলা নির্বাচনে ভালোই জানিয়ে দিলেন এক মন্ত্রীর স্ত্রী ও কন্য।
একজন শিক্ষা অফিসারকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দিয়েছেন তারা।
ভীষণ কষ্ট হয়, ভাবতে সেই শিক্ষিত লোকটার কথা। সারাজীবন লেখাপড়া করে যে লোক শিক্ষা অফিসার হলেন। সমাজ যাকে সন্মাণ দেয়।
তাকে মার খেতে হলো।
ভীষণ কষ্ট হয় ভাবতে সেই শিক্ষিত লোকটার কথা ভাবতে যার একটা পরিবার আছে। হয়তো সন্তানও আছে। জানতে ইচ্ছে করে তিনি তার মার খাওয়া অথবা দাঁত ভাঙ্গা নিয়ে কি বলেছেন পরিবারের মানুষের কাছে।
অবশ্য, কি আর বলবেন?
হয়তো এই বলেছেন, তারা মন্ত্রীর স্ত্রী কন্য।
তারা একটু আকটু গায়ে হাত তুলতেই পারে। এটা বড় করে দেখার কিছু নেই বরং বড় করে দেখার বিষয় এটাই, তারা তো বাকী দাঁতও ভেঙ্গে দিতে পারতেন কিন্তু তা তো করেননি।
কি মহান তারা!
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, প্রিয় জননেত্রী বিষয়গুলো দেখুন। আপনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কদিনেই কোনদিকে যাচ্ছে?
জনগন বিষয়টায় খুবই হতাশ। ভীষন কষ্ট পেয়েছে।
এখনই সময় জনগনের দিকে তাকান। একদিন এই জনগনের কাছেই ফিরতে হবে।
আপনাকে আমরা দিয়েছি, এখন আপনার পালা। আপনার কাছেই সব প্রত্যাশা। দিনবদলের বাংলাদেশের স্বপ্ন আপনিই দেখিয়েছেন।
আপনার কাছেই চাইবো ডাউনলোড দিয়ে আকাশ নামানোর অনুমতি।
আপনার কাছেই চাইবো, চাঁদ ছুয়ে দেখবার লিংক।
অন্য কোথাও আমার চাইতে চাইনা।
অন্য কোথাও আমরা প্রত্যাশা করি না এই ঘটনার বিচার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।