আনিকার কথা একবার বলেছিলাম। আবার তার কিছু কান্ডকারখানার কথা মনে পড়ে গেল। আপনাদের শোনাই।
আনিকার বয়স তখন চার, সাড়ে চার। সে নানীর বাসায় গেছে।
নানীর কাছে সে দুধ চাইল। কোন কারণে নানীর দুধ দিতে দেরী হওয়ায় আনিকা ভাবলো যে নানী ঠিক মত বুঝতে পারেনি সে কি চাচ্ছে। তাই নানীকে ভালো করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য সে বলল যে " আরে আমিতো তোমার গায়ের দুধ (মানে বুকের দুধ!) খেতে চাচ্ছিনা। তোমাদের টিন থেকে আমাকে দুধ বানিয়ে দিলেই হবে। " বুঝতেই পারেন এরপর নানীর কি অবস্থা!
আনিকা তখন একটু বড়।
বয়স পাঁচ হবে। তার মা বলল "আনিকা ভাল করে পড়ালেখা করো। পড়ালেখা শিখে তোমাকে বড় হতে হবে। " আনিকা বলল " আম্মু আমি পড়ালেখা শিখে বড় হতে চাইনা। আমি খেয়ে দেয়েই বড় হতে চাই"।
আনিকার বয়স যখন সাত কি আট তখন আনিকার উপর পড়াশুনার চাপ সত্যিই এসে পড়লো। স্কুলে পড়া, হোম ওয়ার্ক, মায়ের কাছে বাড়তি পড়া, সবমিলে বেচারার হিমসিম অবস্থা। এমনি এক সময়ে বাসায় সিডিতে সে গান শুনতে পেল, গায়ক (বশীর আহমেদ) গাইছেন " আমাকে পোড়াতে যদি এত লাগে ভালো, জ্বালো আগুন আরো জ্বালো, ঢালো আরে ব্যথা ঢালো..। " আনিকা অবশ্য শুনলো "আমাকে পড়াতে যদি এত লাগে ভালো..। সে তো খুবই অবাক, বলে উঠলো "আরে এই আংকেল আমার অবস্থা কিভাবে জানলো?"
আনিকা এখন আরো কিছুটা বড় হয়েছে।
বাইরে খুব গম্ভীর। কিন্তু ভিতরের মজার শিশুটিকে সবসময় সে লুকাতে পারেনা। যখন সে ডিজনী বা নিকোলোডিয়ন চ্যানেল দেখে তখন তার হাসি অন্যঘর থেকেও শোনা যায়। বাসার সবার আনন্দের এক অফুরান উৎস সে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।