আমি কইলাম মরিনাই; বুকের আগুনও নেভে নাই, কসম ক্ষুধিরামের। খালি কয়দিন ধইরা কর্পোরেট ভন্ডামিতে ডুইবা আছি আপাদমস্তক! কমরেড, মিছিল আইলে একটা টোকা দিয়া যাইয়েন।
একদিন খুব ভোর বেলা কৃষ্ণচূড়ার ফুল দেখতে শাহীন কলেজের কাছে প্রান্তিকের মাঠে গিয়েছিলাম। খুব ভোর, হালকা একটা কুয়াশার চাদর জাপ্টে ধরে আছে প্রকৃতিকে। মাঠের দূর্বা ঘাসের ওপর ছোট্ট ছোট্ট শিশির কণা।
যেন বা সদ্য স্নান করে উঠেছে, চুল এখনো ভেঁজা। পা টিপে টিপে খুব সাবধানে হাঁটছিলাম, ঘাস গুলো যেন কষ্ট না পায়। কৃষ্ণচূড়া গাছটা ছিল মাঠের একবারে কোনার দিকে। ওর পাশে গিয়ে দাড়াতেই দেখি গা ভেঁজা। শীতের ঠাণ্ডা বাতাসে থির থির করে কাঁপছে পাতা গুলো।
ওপরে তাকাতেই সবুজ পাতার আড়াল থেকে দৃশ্যমান হলো লাল রঙের ফুল। নরম এক একটা ছোট্ট লাল কৃষ্ণচূড়া, কিন্তু কেমন যেন মনে হচ্ছিলো বারুদে ঠাসা। সারা শরীর টগ্বগ্ করে জ্বলছে, যে কোন মুহুর্তেই ফেটে পরবে, তছনছ করে দেবে চতুর্দিক্। সহসাই সন্ত্রাস হানা দেবে প্রকৃতিতে।
কেন যেন মনে হলো পুরো প্রকৃতিই ভয় পাচ্ছে এই ছোট্ট ফুল গুলোকে।
কারণ ওর বুকের মধ্যে আগুন, চতুর্দিক্ পুড়িয়ে দেবার উচ্ছ্বাস।
সেদিন থেকেই শিখলাম নরম স্নিগ্ধতার ভেতরেও তুমুল বিক্ষোভ লুকিয়ে রাখা যায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।