আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইংরেজী সনও বাংলা সনের সর্ম্পক প্রতিপাদন



সম্রাট আকবারের আমলে এদেশে প্রচলিত ছিল হিজরী সন। সম্রাট আকবার কিন্তু এদেশের মানুষের জন্য একটা বিরাট কাজই করে গেছেন যা চির স্মরণীয় হয়ে থাকাই উচিত যদিও তা তিনি করেছিলেন খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে। সে কাজটা হল বাংলা সনের প্রবর্তন। মোটামুটি ৩৫৪ দিনে হিজরী সন গনণা করা হয়। এ জন্য প্রতি ইংরেজীসন থেকে হিজরী সন পিছিয়ে পড়ে ১১ দিন।

প্রতি ৩ বছরে পিছিয়ে পড়ে ১ মাস। এ দেশের কৃষকরা অগ্রহায়ন-পৌষ বা ফাল্গুন-চৈত্রমাসে ঘরে তুলে যথেষ্ট ধান। এ সময়টা খাজনা দেয়া বা নেয়ার জন্য থাকে যথেষ্ট প্রশস্ত। কিন্তু হিজরী সন অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হয় তবে বেজায় ঝকমারি। এ বছর খাজনা বসন্তকালে আদায় করা হলে, ৫ বছর পর আদায় করতে হবে শীতকালে ১২ বছর পর হেমন্ত কালে।

১৮ বছর পর শরৎকালে। সম্রাট আকবার ৯৬৩ হিজরীতে সিংহাসনে আরহন করেন তখন ইংরেজী সন ছিল১৫৫৬। সম্রাট আদেশ দিলেন তখন থেকেই বছর চলবে সৌর সন হিসেবে অথাৎ ৩৬৫ ১/৪ দিনে। এর ফলে বন্ধ হল ১১ দিনের গড়মিল। এভাবেই জন্ম নিল বাংলা সন, যা এদেশে এখনও চালু রয়েছে।

যে সময় থেকে এ পরিবর্তন আনা হল তখন ইংরেজী সন ছিল ১৫৫৬সন। আর নতুন বাংলা সন ছিল ৯৬৩। এ দুয়ের মধ্যে ছিল ৫৯৩বছর ৩ মাস ১৩ দিনের ব্যবধান। তাই ইংরেজী তারিখ থেকে বাংলা তারিখে বা বংলা থেকে পরিবর্তন আনতে হলে ৫৯৩ বছর ৩ মাস ১৩ দিন যোগ বা বিয়োগ করতে হয়।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।