ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে তা থৈ তা থৈ থৈ দিমি দিমি দ্রম দ্রম । । ভূত পিশাচ নাচে যোগিনী সঙ্গে । । ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।
। দানব দলনী হয়ে উন্মাদিনী আর কি দানব থাকিবে বঙ্গে । । বেয়াল্লিশ বছরের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বাংলাদেশ অবশেষে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত। প্রথমত বাংলাদেশ সরকারকে এই দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষিত এবং কঠিণসাধ্য বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন।
সেই সাথে এই বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি জানাই পূর্ণ এবং অকুণ্ঠ সমর্থন।
গত ২১ জানুয়ারি, ২০১৩ তে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আবুল কালাম আযাদ প্রকাশ বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায় ঘোষণা করে। এই রায় সারা দেশবাসীর মনে নতুন আশা এবং প্রেরণার সঞ্চার করে।
কিন্তু গত ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২, মানবতাবিরোধী অপরাধের দ্বিতীয় মামলার রায়ে আবদুল কাদের মোল্লা প্রকাশ কসাই কাদেরের খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও গণহত্যার মতো ঘৃণ্য ছয়টি অপরাধের পাঁচটি প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি প্রদান করে।
দুঃখজনক ভাবে এই রায় বাংলাদেশের জনগণের আস্থা ও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও অন্যান্য বিচারাধীন মামলার রায় নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
বলা বাহুল্য বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীরা শুধুমাত্র দেশদ্রোহীই নয়, গণহত্যা-ধর্ষণের মতো সর্বোচ্চ আপরাধের চিহ্নিত অপরাধী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনতার প্রাণের দাবী, এই চিহ্নিত ও প্রমাণিত রাজাকারদের একমাত্র প্রাপ্য শাস্তি, ফাঁসির রজ্জু।
এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সারা দেশব্যাপী যে তীব্র গণআন্দোলন, তা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের দেশপ্রেম এবং চূড়ান্ত আশাভঙ্গের প্রতিচ্ছবি। গণজোয়ার আর মুহুর্মূহু শ্লোগানে সমগ্র বাংলাদেশ আজ উত্তাল, গণজাগরণ এখন তীর-হারা ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকার প্রজন্ম চত্ত্বর থেকে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব, সিলেটের জিন্দাবাজার থেকে রাজশাহীর সাহেববাজার। এই গণজাগরণের সাথে আমরা মালয়শিয়া প্রবাসী ছাত্রজনতা সম্পৃক্তি এবং সংহতি প্রকাশ করছি।
আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগ, কেরানীগঞ্জ থানার ভাওয়াল খানবাড়ি ও ঘাটারচরে (শহীদনগর) ২৫ নভেম্বর কাদের মোল্লার নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন রাজাকার হত্যা করে শতাধিক নিরস্ত্র গ্রামবাসীকে। এ অভিযোগ থেকে কাদের মোল্লাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আমাদের দাবি অবিলম্বে এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ হতে আপিল করা হোক এবং সুষ্ঠু আইনি পরিচালনার মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি, মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হোক।
পরিশেষে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে মালয়শিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্রজনতার কাছ থেকে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন কুয়ালালামপুর কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
বিনীত
মালয়শিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্রজনতা
তারিখ – ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩
কুয়ালালামপুর
বিঃদ্রঃ আজকের সমাবেশে প্রদান করতে যাচ্ছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।