কোথায় পাব শান্তি,তাই খুজেঁ বেড়াই।
ব্রিটিসরা যেখানেই শাসন করেছে ঐ জায়গার মানুষের মন মানুসিকতাকেও নষ্ট করে দিয়েছে। শিখিয়েছে গোলামীতেই সম্মান।
এই ব্রিটিসরা নিজেদের সভ্য বলে দাবী করলেও এরা কখনোই সভ্য ছিলনা। সবগুলো দেশ স্বাধিন করে দেওয়ার আগে এমন ভাবে দিয়েছে যেন যুগ যুগ ধরে ঐ দেশগুলোতে অশান্তি বিরাজ করে।
এই উপমহাদেশকে ওরা দুইভাগ করে দিয়েছে পাকিস্তান আর ভারত। পাকিস্তানের পশ্চিমভাগ আবার একজায়গায় আর পূর্বভাগ আরেক জায়গায়। আমাদের এই বাংলাকে দুই ভাগ করে একভাগ দিয়েছে ভারতকে আরেকভাগ পাকিস্টানের ভিতর। কাশ্মীরের কথা আর বললাম না। ওটা নিয়ে এই দেশ দুটো তিনটা যুদ্ব করে ফেলেছে।
পান্জাব প্রদেশটা কে দুই ভাগ করে একভাগ পাকিস্টানকে আরেকভাগ ভারতকে। পশতুন জাতির বিশাল এলাকার একভাগ দিয়েছে আফগানিস্টানকে আরেকভাগ দিয়েছে পাকিস্তানকে(পেশাওয়ার,ওয়াজিরিস্টান ইত্যাদি)।
এবার বেলুচিস্তানকে দেখুন ওটাকে আবার দুইভাগ করে একভাগ পড়েছে পাকিস্তানে আরেকভাগে পড়েছে ইরানের মধ্যে।
ইরাককেও এরা এইভাবেই ভাগ করেছে । শিয়া,সুন্নি,কুর্দিদের বসরা,ফালুজা,মসুল সহ এই তিন গোষ্ঠীকে একটা দেশের ভিতর দিয়েছে যেন মারামারি কাটাকাটি চলতেই থাকে এই তিন গোষ্ঠীর মধ্যে।
ইরাকের একমাত্র বন্দর শহর কুয়েতকে ইরাক থেকে আলাদা করে দিয়েছে। কুয়েতকে আলাদা করে দিয়ে সাবাহ পরিবারের কাছে দিয়েছে ক্ষমতা।
এমন ভাবে সব ভাগ করা হয়েছে যেন সবসময় এই দেশগুলো সমস্যা নিয়ে থাকে। আর সমাধানের জন্য তাদের পুরাতন মনিব ব্রিটিসদের কাছে চলে যায়। আর পরোক্ষভাবে শাসন করতে পারে যেন।
শ্রীলংকাকে দেখুন । এই ব্রিটিসরাই তামিলদের ভারত থেকে এদের শ্রীলংকায় নিয়ে আসে । আর ওরা এখন তামিল টাইগার নামে একটা সংগঠন করে বিশ্বের বৃহৎতম আত্বগাতী বোমারুর দল।
আসলে এই ব্রিটিসরা আমাদের এই উপমহাদেশ সহ বাংলাকে শোষন করে শুধু খোসাটা রেখে গিয়েছে। রোপন করে গিয়েছে হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিষ বৃক্ষ।
যার খেসারত আজো এই উপমহাদেশের মানুষ দিয়ে যাচ্ছে।
আর ফিলিস্তিনের কথা বললাম না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।