আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩১ জানুয়ারি ২০০৬ এ লেখা সাতটি

ডুবোজ্বর

৩১০১০৬-১ আধেকছায়া আর আধখানারোদ হেঁটেছি পান করেছি বাতাসের সোনালিশরীর আমি নিজের মধ্যে কীযে দেখেছি আমি নিজের মধ্যে কীযে দেখেছি জলের স্তর বিভেদ করেছি ধীরে দেখেছি অক্ষয়শরীর কোমলের আমার মধ্যে রূপোলিঘাসবন ঝিরিঝির ওরা সূর্যের আলোয় লজ্জাবনত তাই বলে কোমলতা শিশির হয় নাকি শান্তি ছিলো দূরাগতপ্রেমিকার আঙুলে শান্তি ছিলো তার চোখের স্তব্ধতায় একটাঝিল বুনে দিয়েছি তার মুঠোতে তারপর ছেড়ে গিয়েছি বিস্তারিতসভ্যতা ছেড়ে গিয়েছি বৌদ্ধবিহার পাহাড়িপথ ছেড়ে গিয়েছি শুকনোপাতার চাদর আর অমৃতচুম্বনদুইলক্ষতিনহাজারনয়শছয় ছেড়ে গিয়েছি লালচোখসিংহ প্রহরারত অর্ধেকছায়া বুকে বাকিটা রোদে মোড়া তারপরও আমি ছেড়ে গিয়েছি অবিরত ----------------------------------------------------------- ৩১০১০৬-২ ঝিমঝিম চোখে তাকিয়ে ক্লান্ত কুকুর শুয়ে আছে নবীনধূলির আঁচলে এইআঁচল পাতা আছে গতজন্মের শরীরে স্তন তার বাড়ন্তশীতের বকুল শোয়া আছে আলোর মলিনসারথি নিতম্বে অপার নৈঃশব্দ্য ধরে সে বুকে হেঁটে পার হয় কাঁটাতৃণমরুতীর কুকুর শুয়ে আছে অন্ধঅধীর এইঅধীরতা গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে ভোরে গ্রামেরই পথ ধরে অন্ধতা যাবে না ----------------------------------------------------------------- ৩১০১০৬-৩ মোমবাতি জ্বলে কোথাও সারাদিনসারাদিন আমরা তার ধোঁয়াহীন ক্ষয় দেখি বাতিদান খুঁজি তার নিখাদ অন্ধকারে ক্ষয়িষ্ণুআলোর মড়কে সাজাই কাদারত হাস কোনোদিন উপহাস আসবে নদীজলে ভেসে ভেসে যাওয়া জলে হাঁসের পালক ভিজে যাবে অমৃতআষাঢ়ে ভিজে ক্ষয় হবে কচুপাতার বন আর নিজেকে ভালোবেসে আমি নিজেরই জন্যে জমাবো একফোঁটাঘৃণাসুখ কেউ জানবে না আমাদের বৃত্তের বাইরে হয়তো আমিই থাকি কেউ জানে না ------------------------------------------------------------ ৩১০১০৬-৪ সুদিনের ঘরে সমতলরাতের আলো ছুঁয়ে গেছে বাড়ন্তশৈশব গোধূলির গোধূলি সন্ধ্যাকালে দগ্ধ করে সন্ধ্যার নিরাসক্তঅধর জানে না অপমৃতরঙের ললিতকণ্ঠস্বর ওইস্বরে বেজে যাবে নাকি দানবীয়ঘড়ি ঘড়িটির একটিমাত্র কাঁটা বিলুপ্ত অন্যদুটি ডানাঅলা উড়ে গেছে আকাশ শেষ হলে ডানাঅলাঘড়িকাল থমকে থাকে জড়ভুক মহাকাল কারো মুখে ছিলো না শব্দকথা সুদিনের ঘরেই ছিঁড়ে গেছে সকাতর সকলগীতা ---------------------------------------------------------------------- ৩১০১০৬-৫ গলির অন্ধমধুকর সুখেই আছেন রাতদিন পরিতৃপ্তবাঁশির তাবিজ পরা পার করেন সময়ের নীরক্তচরোষ্ণবালিখাতা খেলা করে সূর্য ও মাধুর্য কী আসে যায় তিনি খুব সহজেই গলিটিকে নদী বানান নদীজল মধু হয় একধারে কাশবন শাদাকালোরঙে কাঁপে মধুকর ছুঁয়ে কাঁপেন তাহার তাপে ----------------------------------------------------------- ৩১০১০৬-৬ কারা কবে দেখতে চেয়েছে শান্তচিলরোদমূর্তি তাদের চোখে ঝলসে আছে আলোকিতদিনের খরা খরাতে প্রথমবাদল এলে শীততপ্তশরীর ফুরোবে ভেবে যারা গুটিয়ে নিয়েছিলো সনখ হাতের দঙ্গল তাদের হাতের তালুতে ধাতবপাথর হয়েছে শরীর বিশীর্ণবনের একটিপ্রান্ত সাক্ষি রেখে ওইপ্রান্তে বুঝি তারা এবং তাহারা মিশে যাবে সত্যিকার চিল আর খরামৃতঝিলের কান্নার জলে -------------------------------------------------------------------- ৩১০১০৬-৭ নিশ্চুপ চলে যাবে ওইধারে ঘটমানগাছের দেয়াল দেয়ালে জংধরা সবুজ সবুজখামে উল্লসিতবাসনা নিঙড়ে আনে ঝড়ের গতি গতিপথে যাকিছু উড়ে ঘুড়ি নয় চিলও নয় চোখ ধারণ করে একটিমাত্র ভয় ভয়ের নাম পাথর তারপর হাওয়াঘাম শুধু একদিনই উপগত রোদের শরীরে কোনোদিন সবকিছু ছিলো অলসতা মৃত্যুক্লান্ত ধীর


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।